প্রতীকী ছবি।
মালদহের মোথাবাড়ির আমলিটোলায় একই পরিবারের ১২ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে ৯ বছরের দুই শিশু-সহ পাঁচ মহিলাও রয়েছেন। ২৬ জুন ওই পরিবারেরই ৫২ বছরের এক ব্যক্তি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। সম্ভবত তাঁরই সংস্পর্শে আসায় সেই পরিবারের ১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ওই খবরে আমলিটোলা গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ওই ১২ জন-সহ মঙ্গলবার রাতে মালদহ জেলায় নতুন করে ৪১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পুলিশ, বিএসএফ জওয়ানও রয়েছেন। বুধবার পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯০১।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বুধবার থেকে ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ শহর এবং কালিয়াচক, জালালপুর ও সুজাপুর এলাকায় পূর্ণ লকডাউন চালু হয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে ওই পাঁচ এলাকায় এ দিন সকাল থেকে সক্রিয় ছিলেন পুলিশকর্মীরা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার জেলায় নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কালিয়াচক ২ ব্লকের ১৪, ইংরেজবাজার শহরের ১৩, পুরাতন মালদহ ব্লকের ৬, রতুয়া ১ ব্লকের ৫ এবং এক জন করে ইংরেজবাজার, কালিয়াচক ১ এবং পুরাতন মালদহ শহরের বাসিন্দা রয়েছেন।
পুরাতন মালদহের নারায়ণপুরে বিএসএফের ৪৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের চার জওয়ানও সংক্রমিত হয়েছেন বলে খবর। আক্রান্ত হয়েছেন তিন পুলিশকর্মী। তাঁদের বাড়ি ইংরেজবাজার শহরের ২, ৩ ও চার নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়াও শহরের কোঠাবাড়ি, কৃষ্ণপল্লি, পিয়াজি মোড়, তেলিপুকুর, মহেশমাটি, রেলওয়ে কলোনির ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। পুরাতন মালদহ শহরেরও এক বাসিন্দা আক্রান্ত হন।