১০টি ট্রাকের প্রতিটিতে ছিল একটি করে হাতি! —নিজস্ব চিত্র।
ব্যস্ত রাস্তায় পথচলতি অনেকেরই চোখ পড়েছিল সার সার ট্রাকের দিকে। আচমকাই তাঁদের চোখ আটকে গেল ট্রাকের বন্ধ ডালার দিকে। ডালার উপর থেকে কিছু একটা ঝুলছিল। ভাল করে দেখার পর বোঝা যায়, সেটি হাতির শুঁড়। এ নিয়ে শোরগোল পড়তেই খবর যায় বন দফতরে। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির তিস্তা সেতু সংলগ্ন এলাকায় নাকা চেকিং পয়েন্টে আটক করা হয় ওই ট্রাকগুলিকে। পর পর ১০টি ট্রাকের প্রতিটি থেকে পাওয়া যায় একটি করে হাতি!
বন দফতর সূত্রে খবর, অরুণাচল প্রদেশে থেকে হাতিগুলিকে পাচার করা হচ্ছিল সন্দেহে ট্রাকগুলিকে আটক করা হয়েছিল। তবে সেগুলির কাগজপত্র খতিয়ে দেখার পর বন আধিকারিকেরা নিশ্চিত হন যে গুজরাতে একটি মন্দিরের ট্রাস্টের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য হাতিগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ওই মন্দিরে হাতিগুলিকে দান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বন দফতর।
'ট্রাকের ডালার উপর থেকে হাতির শুঁড় ঝুলতে দেখেন পথচারীরা। —নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার হাতিবোঝাই ট্রাকগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন জলপাইগুড়ি বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বনাধিকারিক বিকাশ ভি। গরুমারা জাতীয় উদ্যান থেকে প্রাণী চিকিৎসক এনে হাতিগুলির স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার পাশাপাশি সেগুলির কানে লাগানো মাইক্রোচিপও পরীক্ষা করে দেখেন বনকর্মীরা। বিকাশ ভি বলেন, ‘‘হাতিগুলি অরুণাচল প্রদেশ থেকে গুজরাতের জামনগরের রাধা মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেখানেই হাতিগুলিকে দান করা হয়েছে। এই যাত্রাপথে হাতিদের জন্য খাদ্যসামগ্রী, মাহুত, চিকিৎসক-সহ যাবতীয় বন্দোবস্ত করা ছিল। কাগজপত্র ও মাইক্রোচিপ পরীক্ষা করে দেখেছি আমরা। কোনও অসঙ্গতি ধরা পড়েনি। ফলে হাতিবোঝাই ট্রাকগুলি গন্তব্যের দিকে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’