—ফাইল চিত্র।
এ যেন উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের প্রতিযোগিতা! সেই লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছে উত্তরবঙ্গ। তবে গত এক সপ্তাহে গাঙ্গেয় বঙ্গে বড় ঘাটতি হলেও সার্বিক ভাবে এখনও দক্ষিণবঙ্গের বর্ষা স্বাভাবিক।
মৌসম ভবনের তথ্য বলছে, ১ জুন থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার ঘাটতি ছিল মাত্র ২ শতাংশ। তবে ১ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই এই পর্বে দক্ষিণবঙ্গের বর্ষার ঘাটতি রয়েছে ১৫ শতাংশ। তবে গত কয়েক দিনে বর্ষার যা মতিগতি তাতে মাসের শেষে ঘাটতি বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। সার্বিক ভাবে উত্তরবঙ্গে স্বাভাবিকের থেকে ৪৭ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে এবং ১ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই, এই পর্বে ৩৪ শতাংশ বেশি হয়েছে।
আবহবিদেরা বলছেন, বর্ষাকালে মৌসুমি অক্ষরেখার অবস্থান বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নির্ধারণ করে। এমনিতেই উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি। তার উপরে এ বার অক্ষরেখা বারবার হিমালয়ের পাদদেশে থিতু হওয়ায় সেখানে বৃষ্টি বেশি হচ্ছে। মৌসম ভবনের খবর, বর্তমানেও অক্ষরেখা উত্তরবঙ্গের উপরে থাকায় আগামী কাল, বুধবার পর্যন্ত সেখানে বৃষ্টি হবে। গাঙ্গেয়বঙ্গ আপাতত বৃষ্টি পাচ্ছে মূলত বজ্রগর্ভ মেঘের দৌলতে।
আবহবিজ্ঞানীরা বলছেন, গাঙ্গেয় বঙ্গের বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি রয়েছে। তা গরম হয়ে বায়ুমন্ডলের উপরের স্তরে উঠে ঘনীভূত হয়ে মেঘ তৈরি করছে এবং তা থেকে স্থানীয় ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে একই সঙ্গে ভ্যাপসা গরম সইতে হচ্ছে গাঙ্গেয় বঙ্গের বাসিন্দাদের। বিজ্ঞানীদের অনুমান, চলতি সপ্তাহে অক্ষরেখা দক্ষিণ দিকে সরে আসতে পারে। তার ফলে বর্ষাভাগ্য কিছুটা হলেও প্রসন্ন হতে পারে গাঙ্গেয় বঙ্গের।