কলকাতায় ফাঁকা বাণিজ্যিক জায়গা অবশ্য ৩.৫% কমে হয়েছে মোট জায়গার ৩৬.২%। — প্রতীকী চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি এবং তার বাস্তবায়নের ফারাক যে অনেক, তা স্পষ্ট হয়েছে কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে। এই অবস্থায় আবাসন ক্ষেত্রের উপদেষ্টা সংস্থা নাইট ফ্র্যাঙ্কের সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি করা হল, ২০২৪ সালে বাণিজ্যিক জায়গার (অফিস স্পেস) নিরিখে কলকাতা চলে গিয়েছে একেবারে পিছনের সারিতে।
নাইট ফ্র্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০২৩ সালে রাজ্য রাজধানীতে অফিস স্পেসের চাহিদা ছিল ১৪ লক্ষ বর্গফুটের কিছু বেশি। গত বছরে তা ১% কমেছে। কলকাতার পিছনে রয়েছে একমাত্র চেন্নাই। চাহিদা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে আমদাবাদ (৬৫%)। তার পরে রয়েছে বেঙ্গালুরু (৪৫%), মুম্বই (৪০%) এবং দিল্লি (২৫%)। আর বছরের দ্বিতীয়ার্ধেই কলকাতায় চাহিদা কমেছে ১৭%। তবে গত এক বছরে শহরে এই ক্ষেত্রে বর্গ ফুট প্রতি ভাড়ার খরচ ৬.৬% বেড়ে হয়েছে ৪১ টাকা। মুম্বইয়ে তা ১১৮ টাকা এবং বেঙ্গালুরুতে ৯২ টাকা।
কলকাতায় ফাঁকা বাণিজ্যিক জায়গা অবশ্য ৩.৫% কমে হয়েছে মোট জায়গার ৩৬.২%। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, অফিস স্পেসের ক্ষেত্রে এই শহরের বাজার ইতিবাচক নয়। তাই নির্মাণ সংস্থাগুলি বাণিজ্যিকের বদলে সাধারণ আবাসন তৈরির দিকে ঝুঁকছে। সে কারণেই কমেছে ফাঁকা জায়গা। নাইট ফ্রাঙ্কের চেয়ারম্যান শিশির বৈজল বলেন, ‘‘দেশের মধ্যে কলকাতায় ভাড়া কম হওয়ায় ২০২৫-এ হাল ফিরবে বলেই আশা করছি।’’ পূর্তি রিয়েলটির এমডি মহেশ আগরওয়াল বলেন, “কলকাতায় সল্টলেক ও নিউ টাউনে বাণিজ্যিক জায়গার চাহিদা সবচেয়ে বেশি।” ক্রেডাই ওয়েস্ট বেঙ্গলের সভাপতি সুশীল মোহতা আগেই জানিয়েছেন, শহরে খুচরো ব্যবসা এবং গুদামের জায়গার চাহিদা বাড়ছে।