প্রতীকী ছবি।
উত্তর ২৪ পরগনার জেলা স্বাস্থ্য দফতর বুধবার জানিয়েছে, শুধু ওই জেলাতেই ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। এই অবস্থায় সময়সীমা শেষ হয়ে গেলেও ওই রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে ইতি টানা হচ্ছে না। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ডেঙ্গি-প্রবণ এলাকা-সহ প্রতিটি পুরসভায় ঘরে ঘরে সমীক্ষা এবং ডেঙ্গির জীবাণুবাহী এডিস ইজিপ্টাই মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে।
জানুয়ারিতে স্বাস্থ্য দফতর বলেছিল, এ বছর জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ঘরে ঘরে সমীক্ষা এবং লার্ভা নিধনের কর্মসূচি চলবে। কিন্তু ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেও ডেঙ্গিতে মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। তাই স্বাস্থ্য দফতর একটি নির্দেশিকায় জানিয়েছে, আবহাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে ডিসেম্বরেও ডেঙ্গি-প্রবণ এলাকা এবং প্রতিটি পুরসভায় ঘরে ঘরে সমীক্ষা ও লার্ভা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী উত্তর ২৪ পরগনায় গত ১৫ দিনে তিন হাজার বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তার পাশাপাশি ‘অজানা’ জ্বরে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যাও লক্ষাধিক। স্বাস্থ্য ও জেলা প্রশাসনের কর্তারা এ দিন দেগঙ্গার আমুলিয়া, চাকলা পঞ্চায়েত এলাকার ডেঙ্গি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। পরে উত্তর ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন সাহা বলেন, ‘‘জেলায় ডেঙ্গি-আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে ঠিকই। তবে নতুন করে আক্রান্তের হার কমছে। প্রতিরোধে যাতে ঘাটতি না-থাকে, সেই জন্যই উপদ্রুত এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি যাচাইয়ের কাজ চলছে।’’ দক্ষিণ দমদম, বিধাননগর, দেগঙ্গার মতো জেলার যে-সব জায়গায় কিছু দিন আগেও ডেঙ্গি-আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল, সেখানে এখন আক্রান্তের হার কমছে বলে জানান তপনবাবু।