অনশন-মঞ্চ থেকে মেলেনি অভিযোগ  

অনশনকারীদের প্রতিনিধিদলের তরফে তানিয়া শেঠ বলেন, ‘‘সব কাগজপত্র গুছিয়ে নিয়ে আমাদের বিকাশ ভবনে যেতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল। বিকেল ৪টে নাগাদ বিকাশ ভবেন পৌঁছই। ওখানে পৌঁছে দেখি, এসএসসি-র চেয়ারম্যান চলে গিয়েছেন।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৯ ০৩:১৮
Share:

পাঁচ সদস্য নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কমিটি গড়ে দিয়েছেন শুক্রবার। তার দু’দিনের মধ্যে কমিটির কাছে নথি-সহ অভিযোগপত্র পেশ করবেন বলে জানিয়েছিলেন স্কুলশিক্ষকের পদপ্রার্থী অশনকারীরা। মঙ্গলবারেও কিন্তু লিখিত অভিযোগ জমা দিতে পারলেন না তাঁরা।

Advertisement

শিক্ষামন্ত্রীর পাঁচ সদস্যের কমিটিতে আছেন স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিব মণীশ জৈন-সহ আমরা পাঁচ সদস্য সোমবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলাম। এ দিনও বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ওঁদের (অনশনকারীদের প্রতিনিধি) জন্য অপেক্ষা করেছি। কিন্তু কেউ আসেননি।’’ সৌমিত্রবাবু জানান, অনশনকারীরা বলেছিলেন, ওই কমিটি গঠনের দু’দিনের মধ্যে অভিযোগ জমা দেওয়া হবে। শুক্রবার কমিটি গঠনের পরে চার দিন কেটে গেল। এখনও অনশনকারীদের তরফে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।

অনশনকারীদের প্রতিনিধিদলের তরফে তানিয়া শেঠ বলেন, ‘‘সব কাগজপত্র গুছিয়ে নিয়ে আমাদের বিকাশ ভবনে যেতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল। বিকেল ৪টে নাগাদ বিকাশ ভবেন পৌঁছই। ওখানে পৌঁছে দেখি, এসএসসি-র চেয়ারম্যান চলে গিয়েছেন। পাঁচ সদস্যের কমিটির মাত্র দু’জন রয়েছেন। তাই আমরা এ দিন আর অভিযোগ জমা দিইনি। বুধবার বেলা ১টায় বিকাশ ভবনে গিয়ে অভিযোগ জমা দেব।’’ বিকাশ ভবনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অভিযোগের কাগজ ঠিকমতো তৈরি হয়নি বলেই এ দিন অভিযোগ জমা দিতে পারেননি অনশনকারীদের প্রতিনিধিরা।

Advertisement

মঙ্গলবার এসএসসি-র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের অনশন ২৭ দিনে পড়েছে। এখনও কোনও সমাধানসূত্র বেরোল না। এ দিনও বেশ কিছু সংগঠনের প্রতিনিধিরা অনশন-মঞ্চে আসেন। অল বেঙ্গল কলেজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন, ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সদস্যেরা অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন। অনশনকারীরা জানান, এ দিনেও তাঁদের তিন জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনশন-মঞ্চে থাকা চিকিৎসকেরা তাঁদের সুস্থ করে তোলেন। তাই তাঁদের আর হাসপাতালে যেতে হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement