প্রতীকী ছবি।
ভুয়ো প্রতিষেধকপ্রাপ্তদের কারও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে কি না, তা জানতে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার আয়োজন করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। শনিবার সকালে কসবা, সোনারপুর ও আমহার্স্ট স্ট্রিট সিটি কলেজে চলে ওই শিবির। সূত্রের খবর, ওই তিন জায়গায় ভুয়ো ভ্যাকসিন শিবিরে মোট ৪৯২ জন টিকা নিয়েছিলেন। এ দিন অবশ্য তিনটি স্বাস্থ্য শিবির মিলিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন ২৫৭ জন।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এ দিন কসবায় পাঠানো হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের। সিটি কলেজে গিয়েছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা। সোনারপুরের পরীক্ষা করেছে সেখানকার গ্রামীণ হাসপাতাল। এ দিন কসবাতে ৯৭, সিটি কলেজে ৪৯ ও সোনারপুরে ১১১ জন পরীক্ষা করিয়েছেন। ওই ২৫৭ জনের মধ্যে ১০২ জন (কসবাতে ৬৬, সিটি কলেজে ২২, সোনারপুরে ১৪) অর্থাৎ ৪০ শতাংশ উপভোক্তার অধিকাংশেরই বুক ধড়ফড়, দুর্বলতা, মাথা ব্যথার মতো সামান্য সমস্যা রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, ভুয়ো প্রতিষেধকের বিষয়টি জানার পরে ওই সমস্ত সমস্যাই মানসিক। তবে কয়েক জনের জ্বর কেন এসেছে তা জানতে পরীক্ষার পরমার্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। বাকি ১৫৫ জন (কসবাতে ৩১, সিটি কলেজে ২৭, সোনারপুরে ৯৭) অর্থাৎ ৬০ শতাংশের কোনও উপসর্গ নেই।
এ দিন স্বাস্থ্য ভবনের দুই প্রতিনিধির একটি দল তিনটি শিবিরে গিয়ে কথা বলে, রিপোর্ট দিয়েছেন। তাঁরা জেনেছেন, প্রতিটি ভ্যাকসিন শিবিরেই কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপ ছিল। পাশাপাশি কোনও পোর্টালেই টিকা প্রদান নথিভুক্ত করা হয়নি। শান্তনু ত্রিপাঠী, জ্যোর্তিময় পাল, সৌমিত্র ঘোষ ও গোপালকৃষ্ণ ঢালি—এই চার শিক্ষক চিকিৎসকের বিশেষজ্ঞ কমিটিও এ দিন স্বাস্থ্য ভবনকে তাঁদের মতামত জানিয়েছে। ভুয়ো ভ্যাকসিনপ্রাপ্তদের নজরদারিতে রাখা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তা নথিভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে ওই কমিটি। কোনও সমস্যা দেখা দিলে পিজি, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।