প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল ২০১৭ সালে। প্রাথমিক টেটের সেই বিজ্ঞাপনের ছ'বছর পূর্ণ হল মঙ্গলবার।
২০২১ সালে পরীক্ষা হয়। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে চলতি বছরের জুলাইয়ে। আইনি জটে পড়ে এখনও শুরু হয়নি নিয়োগ প্রক্রিয়া। অথচ ইতিমধ্যেই ২০২২-এর টেট হয়ে গিয়েছে। ২০২৩-এরও টেট সামনের মাসে। ২০১৭ সালে পাশ করা প্রাথমিক টেট চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন, তাঁদের নিয়োগ কবে হবে?
২০১৭ সালের টেট চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন, বিজ্ঞপ্তি বেরোনোর পরে পরীক্ষা নিতেই কেটে যায় চার বছর। ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি পরীক্ষার ফল বেরোয় ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারিতে। এর পর নিয়োগের দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের পরে ইন্টারভিউয়ের বিজ্ঞপ্তি বেরোয়। সেই ইন্টারভিউও চলতি বছরের জুলাইয়ে শেষ হয়েছে। এখনও প্রকাশিত হল না মেধা তালিকা।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানাচ্ছে, আইনের জটে আটকে আছে সেই নিয়োগ। কারণ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ২০১৬ সালের গেজেট অনুযায়ী ‘ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন’ (ডিএলএড) প্রশিক্ষিতরাই কেবলমাত্র প্রাথমিক টেটের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার যোগ্য। কিন্তু দেখা গিয়েছে ২০১৪ টেট পাশ বেশ কিছু প্রার্থী ডিএলএড প্রশিক্ষিত ছিলেন না। তাঁরা ২০২০-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ডিএলএড প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করলেও তার ফল বেরোয় নি।। ফলে ২০১৭ সালে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, সেখানে ওই ডিএলএড প্রশিক্ষণ শেষ না হওয়া ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তখন ওই প্রার্থীরা সুপ্রিম কোর্টে যান। তাঁদের বক্তব্য ছিল, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ফল বের করতে দেরি করেছে। ফলে তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। সুপ্রিম কোর্ট তাই সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছ।
চাকরিপ্রার্থী অর্ক মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যদি উদ্যোগী হত, তা হলে সুপ্রিম কোর্টের এই আইনি জট দ্রুত খুলে যেত। কিন্তু তার বদলে আবার ২০২২ সালে টেট হল। ২০২৩ সালের টেটও হবে। এত চাকরিপ্রার্থী টেট পাশ করে বসে থাকবেন। কিন্তু আমাদের নিয়োগটা কবে হবে?’’
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা জানিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নিয়ম মেনেই সব প্রক্রিয়া করছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে টেট নেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। টেট প্রতি বছরই নেওয়া যায়। ২০১৭ সালের টেটের নিয়োগের জট খুললেই ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।