স্বস্তির হাসি। —ফাইল চিত্র।
মদন মিত্রের জামিন বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই-এর তরফে জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছিল। কিন্তু বিচারপতি নিশীথা মাত্রে এবং বিচারপতি তাপস মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিল, জামিন খারিজ করা হচ্ছে না। আলিপুর আদালত জামিন দিয়েছিল মদন মিত্রকে। জামিনে মুক্ত থাকাকালীন মদন মিত্র কোনও আপত্তিকর আচরণ করেননি বলে অবশ্য সিবিআই এ দিন কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়েছিল।
সারদা কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছিল মদন মিত্রকে। আলিপুর আদালত তাঁকে প্রথম বার জামিন দেওয়ার পর, সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সারদা কাণ্ডের তদন্তকারীরা। হাইকোর্ট সে বার মদনের জামিন খারিজ করে তাঁকে ফের জেল হেফাজতে পাঠিয়ে দেয়। পরে আলিপুর আদালত আবার মদন মিত্রকে জামিন দিয়েছে এবং জানিয়েছে আপাতত ভবানীপুর থানা এলাকার বাইরে তিনি বেরতে পারবেন না। আলিপুর আদালতের সেই রায়কেও চ্যালেঞ্জ জানায় সিবিআই। প্রভাবশালী রাজনীতিক মদন মিত্র জামিনে মুক্ত থাকলে সারদা কাণ্ডের তদন্ত প্রভাবিত হবে বলে আশঙ্কা সিবিআই-এর। সেই আশঙ্কার কথা তুলে ধরেই সিবিআই হাইকোর্টে ফের জামিন খারিজের আর্জি জানায়। বৃহস্পতিবার বিচারপতি নিশীথা মাত্রে এবং বিচারপতি তাপস মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে সেই আবেদনেরই শুনানি হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন সিবিআই-কে প্রশ্ন করে, মদন মিত্র জামিনে মুক্ত থাকাকালীন কি কোনও ভাবে তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, মদন তেমন কোনও আপত্তিকর কার্যকলাপ করেননি। তদন্তকে প্রভাবিত করা বা তদন্তের কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা মদন মিত্র করেননি বলেও সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়। তবে জামিন খারিজের দাবি থেকে সিবিআই পিছিয়ে আসেনি। ডিভিশন বেঞ্চ অবশ্য সিবিআই-এর সে দাবিকে এ দিন গুরুত্ব দেয়নি। মদন মিত্র মুক্ত থাকায় তদন্ত যদি কোনও ভাবে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, তা হলে মদন মিত্রকে আটকে রাখা জরুরি নয়, জানিয়ে দিয়েছে আদালত।
বুধবার সারদা কাণ্ডের আর এক অভিযুক্ত কুণাল ঘোষের জামিন বহাল থাকা নিয়েও শুনানি হয়েছিল। সেখানেও সিবিআই-এর তরফে কুণালের জামিনের কোনও বিরোধিতা করা হয়নি। আজ মদন মিত্রের জামিন খারিজের আর্জি জানানো হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু মদন মিত্র মুক্ত থাকায় তদন্ত যে কোনও ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে না, তা সিবিআই মেনে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাড়ল কুণালের জামিনের মেয়াদ