বাড়তি সর্ষে শাক দিয়ে রাঁধা যায় রকমারি। ছবি:ফ্রিপিক।
পঞ্জাবিদের জনপ্রিয় পদ ‘সরসোঁ দা শাগ’ খাওয়ার চল কিন্তু বাঙালিমহলেও রয়েছে। পালং, হিঞ্চে, নটের পাশাপাশি যে কোনও মরসুমি শাকই ঠাঁই পায় বাঙালির হেঁশেলেও। ছেলের আবদারে পঞ্জাবি কায়দায় তোয়াজ করে সর্ষে শাক রেঁধেছিলেন। কিন্তু বেঁচে গিয়েছে অনেকটাই। এখন কী করবেন? খাবার তো নষ্ট করা যায় না। আবার একই পদ পর পর দু’দিন দিলেই বাড়ির লোক থালা সরিয়ে দেবেন। তা হলে বরং জেনে নিন সর্ষে শাক আর কোন পদে, কী ভাবে কাজে লাগাবেন।
পরোটা: পরোটার জন্য আটা মাখার সময়ে মিশিয়ে নিন সর্ষে শাক। অল্প একটু ময়ান দিলেই নরম অথচ মুচমুচে পরোটা হবে। শাকের দৌলতে পরোটার রং কিছু আলাদা হলেও, খেতে লাগবে বেশ।
লুচি: পরোটা নয়, লুচি পছন্দ? ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে নিন সর্ষে শাক। ঘিয়ের ময়ান দিয়ে ভাল করে মেখে লুচি করে নিন। সবুজ লুচি কিন্তু তার রঙের কারণেই সকলের নজরে পড়বে।
স্যান্ডউইচ: সর্ষে শাকের সঙ্গে সামান্য সেদ্ধ সুইকর্ন, একটু চিজ় করে পাউরুটিতে পুর হিসাবে ভরে দিন। তৈরি হয়ে যাবে শাকের স্যান্ডইউচ। স্বাদবদলে এমন খাবার মন্দ হবে না।
ভাত: কড়াইয়ে সর্ষে শাক দিয়ে ভাতের সঙ্গে নাড়াচাড়া করে নিন। তার সঙ্গে পনিরের টুকরো ছড়িয়ে দিতে পারেন। দিতে পারেন ঘিয়ে নেড়েচেড়ে নেওয়া কাজুও।
টিকিয়া: আলুর সঙ্গে সর্ষে শাক মিশিয়ে পকোড়া কিংবা টিকিয়া বানিয়ে নিতে পারেন। বেসন, সর্ষে শাক এবং পাতলা করে পেঁয়াজ মিশিয়ে পকোড়া ভেজে নিতে পারেন। আবার সেদ্ধ আলু, শাক, বেসন মিশিয়ে টিকিয়াও তৈরি করা যায়।