সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। —ফাইল চিত্র।
জোকার ইএসআই হাসপাতালে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ বা নিউরোলজিস্ট নেই। তাই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বর্তমান শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করতে ওই হাসপাতালের অন্যান্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিলেন কলকাতার বিচার ভবনের সিবিআই (পিএমএলএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শুভেন্দু সাহা। অবিলম্বে শারীরিক পরীক্ষা করে সেই রিপোর্ট অনুযায়ী গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
গত ২৪ নভেম্বর কোর্ট সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক পরীক্ষা এবং গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালকে নির্দেশ দিয়েছিল। বিচারকের নির্দেশ ছিল, নিউরোলজিস্ট, কার্ডিয়োলজিস্ট এবং ইএনটি চিকিৎসকদের নিয়ে বোর্ড গঠন করতে হবে। চিকিৎসকদের মতামত নেওয়ার পরে এক জন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ, এক জন চিকিৎসক ও নিরপেক্ষ সাক্ষীর উপস্থিতিতে তদন্তকারী অফিসারের তত্ত্বাবধানে সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। সেই বোর্ড গড়তে পারেনি জোকার হাসপাতাল।
বোর্ড গঠন না করার ব্যাপারে হাসপাতালের তরফে ইডিকে জানানো হয়েছিল যে, নিউরোলজিস্ট না থাকায় আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বিশেষ শারীরিক পরীক্ষার বোর্ড গঠন করা সম্ভব হচ্ছে না। শনিবার কোর্টে হলফনামা দিয়ে সেই বক্তব্যই জানান মামলার তদন্তকারী অফিসার মিথিলেশকুমার মিশ্র। তবে একটি সূত্রের দাবি, সম্প্রতি ওই হাসপাতালের কিছু চিকিৎসক অন্য জায়গায় বদলি হয়েছেন। তার ফলে পদ খালি হয়েছে। শীঘ্রই সে সব শূন্য পদে নতুন চিকিৎসক যোগ দিতে পারেন।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল হেফাজতে আছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ইতিমধ্যে বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর হার্ট অপারেশন হয়েছে। তার পরে জেলে ফের ‘অসুস্থ’ বোধ করায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এর আগে এসএসকেএমে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছিল কোর্ট। সব নিয়ম মেনে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের শেষ ধাপে গিয়েও হাসপাতালের আপত্তিতে সেই কাজ করতে পারেনি ইডি। সে কথা কোর্টকে জানায় তারা। এসএসকেএম হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারকও। তার পরেই তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ জোকা ইএসআই হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক পরীক্ষা এবং কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেন।