Minakshi Mukherjee

ধর্মতলাতেই হবে ‘ইনসাফ’ সভা, ঘোষণা মীনাক্ষীদের

সুদীপ্ত গুপ্ত, মইদুল ইসলাম মিদ্যা, আনিস খানদের মৃত্যুর ‘বিচার’ চেয়ে, আনিসের দাদা সলমনের উপরে হামলার প্রতিবাদে এবং নিয়োগে দুর্নীতির প্রতিবাদে আগামী ২০ তারিখ ধর্মতলায় সমাবেশের ডাক দিয়েছে ডিওয়াইএফআই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:১৮
Share:

ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

পুলিশ এখনও তাঁদের চিঠি ‘স্বীকার’ করেনি। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতি থাকুক বা না থাকুক, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ধর্মতলাতেই যুব সমাবেশ হবে বলে ঘোষণা করলেন সিপিএমের যুব নেতৃত্ব। ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে দিল্লির একটা দল বলে ‘গোলি মারো শালো কো’। আর এখানে এক দল মাথায় গুলি করে দেওয়ার কথা বলছে। আমরা সে দিন প্রতিবাদ করব। সভা হবেই। দায়িত্ব আমাদের।’’

Advertisement

সুদীপ্ত গুপ্ত, মইদুল ইসলাম মিদ্যা, আনিস খানদের মৃত্যুর ‘বিচার’ চেয়ে, আনিসের দাদা সলমনের উপরে হামলার প্রতিবাদে এবং নিয়োগে দুর্নীতির প্রতিবাদে আগামী ২০ তারিখ ধর্মতলায় সমাবেশের ডাক দিয়েছে ডিওয়াইএফআই। সিপিএমের যুব ও ছাত্র সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে ওই সভার আয়োজন হচ্ছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইনসাফ’ সমাবেশ। মীনাক্ষীদের পাশাপাশি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সে দিন মূল বক্তা। সিপিএম সূত্রের খবর, ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে ধর্মতলা চত্বরের মধ্যে সে দিন সভা করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ মঞ্চ বাঁধতে না দিলে ম্যাটাডোরে দাঁড়িয়ে সভা করতে চান মীনাক্ষীরা। তবে বিজেপির মতো আগেই আদালতে গিয়ে সমাবেশের অনুমতি নেওয়ার পথে তাঁরা যাবেন না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মীনাক্ষীরা।

কলকাতা প্রেস ক্লাবে শুক্রবার মীনাক্ষী, ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি ধ্রবজ্যোতি সাহা, এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, পুলিশকে তাঁরা সভার কথা চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। পুলিশ তা ‘স্বীকার’ করেনি এখনও। জেলায় জেলায় সমাবেশের প্রচার চালিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। মীনাক্ষী বলেন, ‘‘চিঠি আমরা দিয়েছি। কিন্তু প্রশ্ন হল, অন্যায়ের প্রতিবাদ করব, তার জন্য পুলিশের অনুমতি লাগবে কেন? অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা বলব। কোথায় প্রতিবাদ করব, কী বলব, সব কি পুলিশ ঠিক করে দেবে? আমরা বলছি, সভা হবেই! আমরা ইনসাফ চাইছি।’’ রাজ্যে ২০১১ সালের পর থেকে তাঁদের সভা-সমাবেশের অনুমতি মেলে না, নির্দিষ্ট জায়গায় একটা দলই সভার সুযোগ পায় বলেও সরব হয়েছেন তিনি। দুর্নীতি ও অন্যায়ের প্রতিবাদে, বিচার এবং নিয়োগের দাবিতে সব ধরনের মানুষকেই এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন সিপিএমের যুব ও ছাত্র নেতৃত্ব।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement