অনুব্রত মণ্ডলের পুরনো বাড়ির পাশে নতুন বাড়িটি। নিজস্ব চিত্র
মাস ছয়েক আগেই বাড়ির ঠিক পাশের পরিত্যক্ত একটি বাড়ি কিনেছিলেন তিনি। তার পরে দ্রুত সেখানে নতুন বাড়িও নির্মাণ হয়েছে। আগামী সোমবার সেই বাড়ির গৃহপ্রবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পরে, সেই সবই থেমে গেল বলে অনেকে মনে করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নানুরের হাটসারেন্দি গ্রামের বাসিন্দা অনুব্রত মণ্ডল। পরিবারের প্রচুর জমিজমা ছিল। পরে বোলপুর-নানুর রাস্তায় নিচুপট্টি এলাকায় পাকাপাকি ভাবে বসবাস শুরু করেন অনুব্রত ও তাঁর পরিবার। ২০১০ সালে তিনি তৃণমূলের জেলা সভাপতি হন। এর পর থেকেই তাঁর ‘উত্থান’ নজর কেড়েছে জেলাবাসীর। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, অনুব্রত অনেক দিন আগেই তাঁর বাড়ির পিছনের অংশ কিনে নিয়েছিলেন। পরে সেখানে তৈরি হয় দলের অস্থায়ী কার্যালয়।নিচুপট্টি এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের আরও দাবি, অনুব্রতের মূল বাড়ির পাশের একটি বাড়ি ছিল। ছ’মাস আগে অনুব্রত তা কিনে নেন। ওই বাড়ির মালিক কে ছিলেন বা তিনি এখন কোথায় থাকেন সে নিয়েও স্পষ্ট করে এলাকাবাসী কিছু বলতে পারেনি। কয়েক জনের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ওই পরিত্যক্ত বাড়িতে কেউ থাকতেন না৷ মালিক কলকাতা বা আসানসোলে থাকেন বলে অনেকের ধারণা।স্থানীয় তৃণমূল সূত্রে খবর, ওই পুরনো বাড়িটি ভেঙে ছ’মাসের মধ্যে নতুন এক তলা বাড়ি নির্মাণ করা হয়। সামনে লাগানো হয় বড় মাপের লোহার গেট।
তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, অনুব্রত কর্মীদের জানিয়েছিলেন, প্রতিদিন অনেকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। কিন্তু, তাঁদের রাস্তায় দাঁড়াতে হয়। তাই বসার জন্য ওই নতুন বাড়িটি বানানো হয়েছে।
অনুব্রতের পুরনো বাড়ির ছাদে বেশ ক’দিন ধরেই প্যান্ডেল বাঁধার কাজ চলছিল। তা নিয়েও দলে ও এলাকায় জল্পনা ছিল। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, সেখানে আগামী সোমবার, ১৫ অগস্ট, যজ্ঞ করে নতুন বাড়ির গৃহপ্রবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের হাতে তৃণমূলের জেলা সভাপতির গ্রেফতারির পরে সব থমকে গেল। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘১৫ অগস্ট যজ্ঞ করার জন্য প্যান্ডেল করা হয়েছিল বলেই আমরা শুনেছিলাম। তার আগেই এই ঘটনা।’’