COVID-19

শহরে তৈরি হল ৪ অক্সিজোন, কলকাতার পাশে দাঁড়ালেন টরন্টোর প্রবাসী বাঙালিরা

প্রবাসী বাঙালি আড্ডা-র উদ্যোগে শহরে তৈরি হয়েছে ৪টি ‘অক্সিজোন’। জরুরি পরিস্থিতিতে রোগীকে ২-৩ ঘণ্টার অক্সিজেনের জোগান দেবে এই ‘অক্সিজোন’গুলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২১ ১৯:৪২
Share:

সল্টলেকের অক্সিজোনে। নিজস্ব চিত্র

রাজ্যে সংক্রমণ এখনও কিছুটা বেশির দিকেই। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আবহে বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদাও। এই পরিস্থিতিতে বিপদের প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিতে শহরে তৈরি হল ৪টি ‘অক্সিজোন’। জরুরি পরিস্থিতিতে রোগীকে ২-৩ ঘণ্টার অক্সিজেনের জোগান দেবে এই ‘অক্সিজোন’গুলি। যাদবপুর, সল্টলেক, খিদিরপুর এবং সোদপুরে তৈরি করা হয়েছে ওই অক্সিজোন। শহরের দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রমেয়া ফাউন্ডেশন এবং ইকোস প্রজেক্ট-এর সঙ্গে এই কাজে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিদেশের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘প্রবাসে বাঙালি আড্ডা।

Advertisement

সল্টলেকের ‘অক্সিজোন’। নিজস্ব চিত্র।

টরন্টোর প্রবাসী বাঙালিদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘প্রবাসে বাঙালি আড্ডা’ জানিয়েছে, কানাডাবাসী ভারতীয়দের একটি বড় অংশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সংস্থার এক সদস্য বলেন, ‘‘কানাডায় বাঙালি সংস্কৃতির চর্চার পাশাপাশি আমরা সামাজিক কাজও করে থাকি। বিশেষ করে বাংলার মানুষের জন্য বিভিন্ন কাজ করেছে এই সংগঠন। অতিমারি পরিস্থিতিতে আমরা কলকাতাবাসীকে সাহায্য করতেই এই পদক্ষেপ করেছি। এ ব্যাপারে কানাডাবাসী বহু ভারতীয়ই আমাদের সাহায্য করেছেন।’’

খিদিরপুরের অক্সিজোনে। নিজস্ব চিত্র।

সাধারণত যে সমস্ত রোগীর শ্বাস কষ্টের সমস্যা হচ্ছে বা যাঁদের শরীরে অক্সিজেন ঘাটতি দেখা যাচ্ছে তাঁদের ২-৩ ঘণ্টার অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে অক্সিজোনগুলিতে। তবে যে সমস্ত রোগীর এসপিও২ স্তর বিপজ্জনক পর্যায়ে নেমে গিয়েছে বা যাঁদের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক, তাঁদের ক্ষেত্রে এই পরিষেবা প্রযোজ্য নয়।

Advertisement

সোদপুরের অক্সিজোন। নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যে অক্সিজেন ঘাটতির পরিস্থিতিতে অনেক সময় দাম দিয়েও অক্সিজেন সিলিন্ডার পাচ্ছে না রোগীর পরিবার। ‘অক্সিজোন’গুলিতে বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। তবে তার জন্য রোগীকে নিজের বৈধ পরিচয় পত্র এবং চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন দেখাতে হবে।

সল্টলেকে অক্সিজোনের ব্যবস্থাপনায় এক কর্মী। নিজস্ব চিত্র।

এ ছাড়া স্বাস্থ্যভবনের পরিষেবা পেতে নাম নথিভুক্তকরণও করা হচ্ছে এখানে। প্রয়োজন অনুযায়ী জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে রোগীর কাছাকাছি এলাকায় থাকা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঠিকানাও। আপাতত রাজ্যে করোনা সংক্রান্ত কঠোর বিধি নিষেধ চললেও খোলা থাকছে অক্সিজোনগুলি। প্রমেয়া এবং ইকোস-এর তিন সদস্য গার্গী ভট্টাচার্য, মুকুট বিশ্বাস এবং দেবজ্যোতি চক্রবর্তী গোটা বিষয়টি দেখাশোনা করছেন।

যাদবপুরের অক্সিজোন। নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement