সুপ্রিম কোর্টে চলছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্ষাকবচ মামলা। ফাইল চিত্র।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্ষাকবচ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার শীর্ষ আদালত ইডিকে জানিয়ে দিয়েছে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। এমনকি তাঁর চিকিৎসার জন্য দুবাই যাওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও বাধা নেই।
অভিষেকের বিরুদ্ধে তদন্ত সংক্রান্ত মামলায় সোমবার পর্যন্ত কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হবে না বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ আরও বাড়বে কি না তা নিয়েই ছিল প্রশ্ন। কেন না, রক্ষাকবচ বাড়লে আগামী দিনেও অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না ইডি। তা না হলে কয়লাপাচার-কাণ্ডের তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনমতো পদক্ষেপ করতে পারবে। সোমবার অবশ্য আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে, অভিষেকের রক্ষাকবচ বজায় থাকছে। তার বিরুদ্ধ কড়া ব্যবস্থা আপাতত নিতে পারছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।
উল্লেখ্য, কয়লা পাচার মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেশ কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এ ব্যাপারে এর আগে দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু ইডির সেই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী। আবেদন করেন, তাঁদের যেন কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গত ১৭ মে সেই মামলাতেও সুপ্রিম কোর্ট অভিষেকদের পক্ষেই রায় দিয়েছিল। দিল্লির বদলে তৃণমূল সাংসদ এবং তাঁর স্ত্রীকে কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। তবে একই সঙ্গে এ-ও বলে দেয় যে, অভিষেক-রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে যেন কলকাতায় ইডি আধিকারিকদের কোনও হেনস্থার মুখে পড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনকেই। এর পরে অভিষেক এবং রুজিরাকে যখনই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছেন ইডি-র আধিকারিকরা। গত শুক্রবারও অভিষেককে সমন পাঠানো হয় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির জেরার মুখোমুখি হওযার জন্য। তবে শুক্রবারই শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয় সোমবার পর্যন্ত অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না।
তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে রক্ষাকবচ চেয়ে আগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। অন্যদিকে তাঁর দল তৃণমূলও অভিযোগ করেছিল, ইডির তলব আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই মর্মেই শীর্ষ আদালতে রক্ষাকবচের আবেদন করেছিলেন অভিষেক। একই সঙ্গে তাঁর আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছিলেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে অভিষেক দেশের বাইরে দুবাইয়ে যেতে চাইলেও তাঁকে হেনস্তা করা হচ্ছে। গত শুক্রবার এই দুই মামলা না শুনলেও সুপ্রিম কোর্ট অভিষেকের রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়িয়ে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করে দেয়। সেই মামলারই পরবর্তী শুনানি ছিল সোমবার।