মোদীর সঙ্গে বৈঠক করার কথা হাসিনার। ছবি টুইটার।
প্রায় তিন বছর পর সোমবার ভারত সফরে এলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চার দিনের সফরে দু’দেশের মধ্যে সাত চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, জলবণ্টন, রেল, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি-সহ সাত চুক্তি সই করা হতে পারে। রবিবার এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আশা করব, শেখ হাসিনার সফর সফল হবে। আমাদের লক্ষ্যপূরণে সাহায্য করবে এই সফর।’’ জ্বালানি নিয়েও দু’দেশের রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে কথা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী। দু’দেশের মধ্যে মউ স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে মোমেন আরও জানিয়েছেন যে, এ নিয়ে আলোচনা চলছে। চুক্তির সংখ্যা আরও বাড়তেও পারে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে সোমবার ভারতে এলেন হাসিনা। বস্তুত মোদী ও হাসিনার মধ্যে বরাবরই সুসম্পর্ক রয়েছে। এর আগে, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ভারতে এসেছিলেন হাসিনা।
ভারত সফরের আগে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসিনা জলবণ্টনের প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি মনে করি, এই সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। এটি একটি দীর্ঘ দিনের সমস্যা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই সমস্যা সমাধানে আগ্রহী।”
চার দিনের সফর শেষে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার কথা হাসিনার। সফরের প্রথম দিন দিল্লির হজরত নিজামউদ্দিন আউলিয়া দরগায় যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ,উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর। সফরের শেষ দিন রাজস্থানের অজমেঢ়ে যাবেন। সেখান থেকে বাংলাদেশ ফিরে যেতে পারেন।