পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। ফাইল চিত্র।
রাজনীতিতে তোলপাড় চললেও শিক্ষা দফতর নিয়ে কোনও রকম বিতর্কের সুযোগ থাকছে না বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে। প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিতর্ক হবে না স্বরাষ্ট্র দফতর নিয়েও।
এ বারের বাজেট অধিবেশনে শিক্ষা সহ ৩৩টি দফতর নিয়ে বিতর্ক এড়াচ্ছে সরকারপক্ষ। পরিষদীয় ভাষায় বাকি ৩৩টি দফতরই চলে যাবে গিলোটিনে। অর্থাৎ বিতর্ক বা আলোচনা না করেই ব্যয় বরাদ্দ অনুমোদন করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে শিল্প, পঞ্চায়েত, কৃষি, পুর ও নগরোন্নয়নের মতো ছয়টি দফতর নিয়ে বিতর্কের কথা ভাবা হয়েছে। এ নিয়ে তরজা বেধেছে শাসক ও বিরোধীদেরও।
তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে বিভিন্ন সময় বিধানসভার গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। বিশেষ করে তৃণমূল আমলে এই রকম গিলোটিনে যাওয়া দফতরের সংখ্যা বেড়েছে। স্বরাষ্ট্র, শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর নিয়ে বিতর্ক এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ নতুন না হলেও এখনকার পরিস্থিতিতে বিষয়টি বিশেষ মাত্রা পেতে চলেছে। বিজেপির বিরুদ্ধে সংসদ নিয়ে একই অভিযোগ করে তৃণমূল। কিন্তু তাদের সরকারও কেন এতগুলি দফতরের বাজেট বিতর্ক এড়িয়ে গিলোটিনে পাঠিয়ে দিচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জবাবে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের সরকার বিধানসভাকে এড়িয়ে কোনও কাজ করে না। সময়ের অভাবে কিছু দফতর নিয়ে আলোচনা করা যাচ্ছে না। তবে যেগুলি নিয়ে আলোচনা হবে, সেগুলিও গুরুত্বপূর্ণ।’’
সরকারের এই ভাবনার সমালোচনা করে বিজেপির পরিষদীয় দলের সচেতক মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘‘শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করবে কী করে! গোটা দফতরই তো আইসিইউ-তে। মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে বিধানসভাকে এড়িয়ে যায়।’’ মন্ত্রী শোভনদেবের দাবি, ‘‘বাম আমলের থেকে বেশি প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন আমাদের মন্ত্রীরা।’’
বিধানসভা সূত্রে খবর, আগামী ৬ মার্চ থেকে বাজেট বিতর্ক সংক্রান্ত অধিবেশন শুরু হবে। বিতর্ক হবে চার দিন। তার মধ্যেই অন্যান্য কর্মসূচির সঙ্গে বিতর্ক হবে ছয়টি দফতরের বাজেট প্রস্তাব নিয়ে। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিষয়টিকে সেই সূচিতে রাখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।