—প্রতীকী চিত্র।
বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম এবং প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করা চিকিৎসকেরা কি বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজেদের প্রচার করতে পারেন? একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের নোটিসের জেরে এ বার সেই সব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষ কমিটি তৈরি করছে জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)।
সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে এনএমসি-র দ্বাদশ মাসিক বৈঠকে এই কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই কমিটির সদস্যেরাই আগামী দিনে ঠিক করবেন, বেসরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করা চিকিৎসকেরা কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন আর কোনটা পারবেন না। তার জন্য একটি সুস্পষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করা হবে। জানা যাচ্ছে, সেই নির্দেশিকা রিপোর্ট আকারে আদালতে জমা দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুর দিকে মুম্বইয়ের এক বন্ধ্যত্ব রোগের চিকিৎসক বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের বিজ্ঞাপন দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে শীর্ষ আদালতে এই জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, এনএমসি-র ‘প্রফেশনাল কন্ডাক্ট অব রেজিস্টার্ড মেডিক্যাল প্র্যাক্টিশনার্স’ বিধিতে রয়েছে এই বিজ্ঞাপনের বিষয়টি। সেখানে স্পষ্ট বলা আছে, কোনও বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বা চিকিৎসক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে নিজের প্রচার করতে অনৈতিক বিজ্ঞাপন দিতে পারেন না। তাই, বিভিন্ন জায়গায় ‘অমুক রোগের চিকিৎসায় আমরা সেরা’ কিংবা ‘খ্যাতনামা এই চিকিৎসক এখানে অস্ত্রোপচার করছেন’—এমন বিজ্ঞাপন আদৌ আর দেখা যাবে কি না, তা-ও ঠিক করবে এনএমসি।