ফাইল চিত্র।
সমুদ্র উপকূল সংলগ্ন এলাকায় গবেষণার জন্য দ্বিতীয় ভেসেলটি শুক্রবার জলে নামাল ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশন টেকনোলজি’ (এনআইওটি)। ‘সাগর অন্বেষিকা’ নামে ওই ভেসেলটি তৈরি করেছে টিটাগড় ওয়াগন লিমিটেড। কয়েক মাস আগে ‘সাগর তারা’ নামে আরও একটি ভেসেল জলে নেমেছে টিটাগড়ের ওই কারখানা থেকে।
এনআইওটি-র বিজ্ঞানীরা জানান, সমুদ্রে জলের গভীরতা, তলদেশে থাকা খনিজ, জীববৈচিত্র-সহ নানা বিষয়ে গবেষণায় সহযোগিতা করবে এই ভেসেল। সমুদ্রে প্লাস্টিক-দূষণের মাত্রা কত, তা-ও জরিপ করবে। সাগরদ্বীপে প্রথম গবেষণার কাজ শুরু করবে ‘সাগর অন্বেষিকা’। এর পরে লাক্ষাদ্বীপে পানীয় জলের লাইন স্থাপনের কাজের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে সে। এর ভিতরে রয়েছে দু’টি আধুনিক গবেষণাগার। দু’টি এমন ভেসেলের জন্য খরচ হয়েছে ১০০ কোটি টাকা।
সমুদ্র উপকূলে গবেষণার জন্য আগে এনআইওটি-র দু’টি ভেসেল ছিল। বহু পুরনো হওয়ায় ইতিমধ্যেই তার একটি বাতিল হয়েছে। অন্যটিও শীঘ্র বাতিল হবে। সেই জায়গায় নতুন ভেসেল দু’টি ব্যবহার করা হবে বলে জানান সংস্থার কর্তারা। টিটাগড় ওয়াগন লিমিটেডের এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যান জগদীশপ্রসাদ চৌধুরী বলেন, ‘‘গত তিন বছর ধরে আমরা জাহাজ বানানো শুরু করেছি। এর আগে নৌবাহিনীর দু’টি জাহাজ বানিয়েছি। তবে সমুদ্রে গবেষণার ভেসেল এই প্রথম বানানো হল। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাজটি শেষ করা সম্ভব হয়েছে।’’