ছত্রধর মাহাতো। ফাইল চিত্র।
প্রায় এক যুগ আগে ঝাড়গ্রামের বাঁশতলা স্টেশনে যখন রাজধানী এক্সপ্রেস আটকে রাখা হয়, একদা জনসাধারণের কমিটি এবং অধুনা তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতো সেই সময় ছিলেন লৌহকপাটের আড়ালে। সেই মামলায় ছত্রধর-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল এনআইএ। বৃহস্পতিবার কলকাতার বিশেষ এনআইএ আদালতে ওই চার্জশিট জমা পড়েছে।
আদালত সূত্রের খবর, চার্জশিটে ছত্রধর ছাড়াও মৃত মাওবাদী নেতা কিষেণজি এবং শশধর মাহাতোর নাম আছে। ২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর বাঁশতলা স্টেশনে ভুবনেশ্বর-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস আটক করেছিল মাওবাদী ও জনসাধারণের কমিটি। সেই কমিটির তৎকালীন মুখপাত্র ছত্রধরের জেলমুক্তির দাবিতেই ট্রেনটিকে দীর্ঘ ক্ষণ আটকে রাখা হয়। রেল-কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে জিআরপি তদন্ত করে মামলার চার্জশিট দাখিল করেছিল ঝাড়গ্রাম আদালতে। তখন ছত্রধর তাতে অভিযুক্ত ছিলেন না। কারণ তিনি সেই সময় জেলে ছিলেন।
অন্যান্য মামলায় ১১ বছর কারাবন্দি ছিলেন ছত্রধর। কলকাতা হাই কোর্ট সাজা কমানোর পরে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি মুক্তি পান। তার পরেই এনআইএ পুরনো মামলা নিয়ে তৎপর হয়ে ওঠে। রাজধানী এক্সপ্রেস আটক এবং লালগড়ের এক সিপিএম কর্মী খুনের পুরনো ঘটনায় ছত্রধরকে অভিযুক্ত করে নতুন করে দু’টি মামলা দায়ের করে তদন্তে নামে এনআইএ। গত ২৭ মার্চ ঝাড়গ্রাম জেলার ভোট শেষে সেই রাতেই ছত্রধরকে গ্রেফতার করে তারা।