গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
হরিদেবপুরে ধৃত জামাত জঙ্গিদের জেরা করতে পারে এনআইএ। পুলিশ সূত্রে খবর, আল কায়দা ও হুজি গোষ্ঠীর সঙ্গে ধৃত জঙ্গিদের যোগাযোগের নথি পাওয়া গিয়েছে। তাই এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি। মঙ্গলবার বা বুধবার ধৃতদের এনআইএ জেরা করতে পারে।
রবিবার রাতে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ হরিদেবপুর থেকে তিন জেএমবি জঙ্গি— নাজিউর রহমান ওরফে জোসেফ, মিকাইল খান ওরফে শেখ সাবির ও রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে। তাদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, খাগড়াগড়ের মতোই কলকাতা বা আশপাশে বোমা বানানোর পাকাপাকি ডেরা তৈরির চেষ্টায় ছিল এরা।
ইতিমধ্যেই তদন্তে উঠে এসেছে মালদহ ও বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে ধৃত জঙ্গিরা। প্রায় বছর আড়াই আগে কলকাতায় ঘাঁটি গাড়ে নাজিউর রহমান ওরফে জোসেফ ওরফে জয়রাম ব্যাপারী। মিকাইল খান ওরফে শেখ সাবির প্রায় তিন বছর ধরে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। মাস দেড়েক আগে বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে রবিউল।
এসটিএফ সূত্রে খবর, বছর কয়েক আগে জেএমবি-র ১৫ জনের একটি দল এ রাজ্যে এসে গা-ঢাকা দেয়। ধৃত তিন জন হরিদেবপুরে ফেরিওয়ালা সেজে ঘুরত। তারা কখনও ছাতা সারাত, কখনও বেচত মশারি। বাকিরা জম্মু-কাশ্মীর, ওড়িশায় ঘাঁটি গেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। হরিদেবপুরে চার জন ছিল। শনিবারেই সেলিম মুন্সি নামে এক জন পালায়। গোয়েন্দাদের অনুমান, সে-ই ছিল দলটির মূল চালিকাশক্তি। গোয়েন্দাদের ধারণা, সেলিম বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে।