রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ফাইল চিত্র।
বাংলার ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের গলায়। বৃহস্পতিবার নীলরতন সরকার (এনআরএস) মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জানান, বাংলা দেশকে নেতৃত্ব দেবে। আর ভারত গোটা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।
নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যায় প্রাক্তন এই আইএএস আধিকারিক জানান, দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো ক্ষমতা রয়েছে বাংলার। বাংলা দৈত্যের মতো গর্জন করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বাংলা দেশকে আর ভারত গোটা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন বোস। তাঁর এই মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যপলের সঙ্গেই ওই মঞ্চে থাকা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন।
প্রসঙ্গত, আগের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে নানা বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন এবং শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। শাসকদলের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, রাজভবনকে বিজেপির কার্যালয়ে পরিণত করেছেন রাজ্যপাল এবং তিনি বিজেপির প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচিত সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন। অধুনা দেশের উপরাষ্ট্রপতি ধনখড় অবশ্য এই অভিযোগ নস্যাৎ করে বার বার দাবি করেছিলেন যে, রাজ্যে নৈরাজ্য এবং দুর্নীতি রুখতে তিনি সর্বদা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়ে যাবেন। কখনও মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে টুইট করে, কখনও বা ভোট-পরবর্তী ‘হিংসা’য় ‘অত্যাচারিত’ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করে, রাজভবন এবং নবান্নের মধ্যে বিরোধকে আরও বাড়়িয়ে তুলেছিলেন তিনি। দিল্লিতে দরবার করে তৃণমূল বার বার ধনখড়ের অপসারণ চেয়েছিল। রাজ্যপাল হিসাবে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অবশ্য উপরাষ্ট্রপতি হয়ে দিল্লি চলে যান তিনি।
রাজ্যপাল বোস অবশ্য প্রথম থেকেই রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন। রাজ্যপালের শপথগ্রহণের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘উনি ভাল লোক’। এরই রেশ ধরে রাজ্যপালের এই বক্তব্য রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রক্ষার বার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে। ধনখড় আমলের তিক্ততা ভুলে রাজভবন এবং নবান্নের বোঝাপড়া এই আমলে শক্তপোক্ত হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।