হিন্দমোটরের ওই আবাসনে আয়কর দফতরের হানা। — নিজস্ব চিত্র।
টানা ৩০ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়েছিল আয়কর দফতর। এর পর হুগলির হিন্দমোটরের প্রৌঢ়কে আটক করা হল। বুধবার ভোর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তল্লাশি চালানো হয় হিন্দমোটরের ওই আবাসনটিতে। বৃহস্পতিবার সকালে ওই প্রৌঢ়কে নিয়ে কলকাতায় রওনা দেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ আয়কর দফতরের একটি দল হানা দেয় হিন্দমোটর নিউ স্টেশন রোডের সুমঙ্গল রিজেন্সি নামে একটি আবাসনের দোতলার ফ্ল্যাটে। জানা গিয়েছে, ওই ফ্ল্যাটটির মালিক রাজেশ ঢনঢনিয়া নামে এক জন। তিনি একাধিক সংস্থার ডিরেক্টর বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। বুধবার ভোর থেকে সারা রাত গড়িয়ে বৃহস্পতির সকাল হলেও তল্লাশি চলতে থাকে। আর এই ঘটনা ঘিরেই দানা বাঁধতে থাকে রহস্য। টানা তল্লাশিতে বিস্মিত হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারাও। পার্থ মজুমদার নামে ওই আবাসনের এক বাসিন্দা বলেই দেন, ‘‘আমরা জানি না, আয়কর দফতর কী তথ্য বা নথি পেয়েছে ওই আবাসনে যে, এখনও তল্লাশি চলছে। আমি এমন ঘটনা আগে দেখিনি এই এলাকায়।’’
রাজেশ ঢনঢনিয়াকে (নীল শার্ট পরিহিত) নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কলকাতায়। — নিজস্ব চিত্র।
বুধবার সকালে তিনটি গাড়ি চড়ে ওই আবাসনে গিয়েছিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। তার পর থেকে চলে তল্লাশি। এর মাঝেই দেখা যায়, দু’টি গাড়িতে চড়ে কয়েক জন আধিকারিককে ওই আবাসন থেকে বেরিয়ে যেতে। তার পর তাঁরা আবার ফিরে যান একটি প্রিন্টার নিয়ে। এর মাঝে কয়েক বার খাবারের প্যাকেটও নিয়ে ঢুকতে দেখা যায় আয়কর আধিকারিকদের। রাজেশকে নিয়ে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পর বিস্মিত আবাসনের বাসিন্দারা। সুরিন্দর কুমার তিওয়ারি নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমরা এত দিন ধরে আছি। কিছুই জানতে পারিনি কোনও দিন। রাজেশ বরাবর সাধারণ জীবনযাপন করত।’’