শোভন চট্টোপাধ্যায়।
শোভন চট্টোপাধ্যায় কি তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র বেহালা পূর্বেই বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন? তাঁকে ঘিরে আপাতত এই জল্পনাই ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে এ নিয়ে তাঁর প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে। একই ভাবে দলত্যাগী এই নেতার তৃণমূলে ফিরে আসার সম্ভাবনাও গত কয়েক দিনে ক্ষীণতর হয়েছে।
ঠিক এক বছর আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেও এতদিন সক্রিয় রাজনীতি থেকে সুরেই ছিলেন শোভন। তবে সম্প্রতি নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বেহালা পূর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতার এই জল্পনা উস্কে দিয়েছেন তিনি নিজেই। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে সম্ভাবনা নিয়ে রাজ্যে বিজেপির ভোটবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘মানুষ সব দেখেই সিদ্ধান্ত নেবে।’’ পাশাপাশি নিজের রাাাজনৈতিক পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতি কেটে গেলেই সকলে তা জানতে পারবেন।’’ তবে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে তিনি যে তৃণমূলের একাংশের ‘মুখোশ’ খুলে দিতে চান, ইঙ্গিতে সেই হুমকিও দিয়ে রেখেছেন তিনি।
শোভনের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে সম্প্রতি যে টানাপড়েন শুরু হয়েছিল তার মধ্যে বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেনন তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। একই ভাবে গত বৃহস্পতিবার তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে ফোন করেছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শোভন নিজেই জানিয়েছেন, তৃণমূলের একাংশের ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হয়েই তিনি পার্থবাবুর সঙ্গে কথা বলেননি। এবিপি আনন্দ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তৃণমূলের একাংশের ব্যবহারে তিনি যে অসন্তুষ্ট, তা-ও জানিয়েছেন শোভন।
আরও পড়ুন: বর্ণময় জীবনে দাঁড়ি, প্রয়াত কাশীকান্ত মৈত্র
এ দিকে তৃণমূল সূত্রে খবর, শোভনের এই দোদ্যুলমান অবস্থানে বিরক্ত দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সে ক্ষেত্রে দলে তাঁর ফিরে আসার পথও ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে বলেই মনে করছেন নেতৃত্বের একাংশ।