সিঙ্গল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলক। —প্রতীকী ছবি।
কৃষকবন্ধু-সহ একাধিক সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে এ বার কৃষকদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হতে পারে সিঙ্গল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। প্রশাসনিক মহল সূত্রে খবর, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার একযোগে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এত দিন কেন্দ্রীয় সরকারের ‘কিসান সম্মাননিধি’ এবং রাজ্য সরকারের ‘কৃষকবন্ধু’-সহ নানা প্রকল্পের টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্কে দেওয়া হত। সে ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হত না যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি সিঙ্গল না জয়েন্ট।
কৃষি দফতর সূত্রে খবর, সম্প্রতি কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার পর কেন্দ্র-রাজ্য দু’পক্ষই এ বিষয়ে এক মত হয়েছে যে, ব্যাঙ্কে সরাসরি প্রকল্পের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট নিয়মাবলী কার্যকর করা প্রয়োজন। যেখানে বলা হবে, কৃষকদের সরকারি প্রকল্পের অর্থ পেতে গেলে সিঙ্গল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতেই হবে।
কোনও কারণে প্রথম অ্যাকাউন্ট হোল্ডার মারা গেলেন। সেই তথ্য কৃষি দফতরে আপডেট হতে কমপক্ষে ৬ মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় লেগে যায়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে ওই ব্যক্তির সরকারি সুবিধের টাকা ওই অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে যায়। প্রকল্পের অর্থ প্রাপক না হয়েও সেই অ্যাকাউন্টের দ্বিতীয় অ্যাকাউন্ট হোল্ডার অতি সহজেই সেই টাকা তুলে নিতে পারেন। সেই কারণেই এ বার প্রত্যেক উপভোক্তার সিঙ্গল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। যদি কোনও জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট হোল্ডার তাঁর পুরনো অ্যাকাউন্ট নম্বরকেই কৃষি দপ্তরে কার্যকর রাখতে চান, তাহলে সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি ছাড়া বাকিদের নাম বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। হয় উপভোক্তাকে নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে কৃষি দফতরকে জানাতে হবে। নতুবা জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য জনকে বাদ দিতে হবে। কৃষি দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘এই নিয়ম এখনও চালু না হলেও, আগামী দিনে চালু করা হবে। কারণ জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকার ফলে যে ভাবে সরকারি প্রকল্পের অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে। তাতে আপত্তি রয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের।’’