ফাইল ছবি।
শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা বিশ্বভারতীর সম্পর্কিত কোনও বক্তব্য সরাসরি সংবাদমাধ্যমকে দিতে পারবেন না বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে আপলোড করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের কাছে শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীকে যদি বক্তব্য রাখতেই হয়, তা হলে বিশ্বভারতীর সহ-কর্মসচিব তথা ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকারকে আগাম লিখিত জানাতে হবে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে যাঁদের যা বক্তব্য, তা জনসংযোগ আধিকারিকই সংবাদমাধ্যমকে জানাবেন। ১৯৬৪ সালের সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসেস (কনডাক্ট) রুলের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কেউ সংবাদমাধ্যমে বিশ্বভারতীর কোনও বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে পারবেন না।
এই নোটিস ঘিরেও ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। বিশ্বভারতী ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই নির্দেশ বিশ্বভারতীর অ্যাক্ট ও স্ট্যাটিউটের পরিপন্থী। এ ভাবে কর্মী-শিক্ষকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে।’’ বিশ্বভারতীর কর্মিসভার সভাপতি গগন সরকার বলেন, ‘‘এই নির্দেশিকা জারি করে বাক-স্বাধীনতা হরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ এ ব্যাপারে ফোন বা মেসেজ করা হলেও অনির্বাণবাবুর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।