Jayant Singh

পুলিশকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা! বিজেপি নেতার অভিযোগে জয়ন্তের বিরুদ্ধে নতুন মামলা কোর্টে

মৌসমের আইনজীবীর বক্তব্য, পুলিশকে হাত করে বিরোধী দলের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন জয়ন্ত। সম্প্রতি তাঁর মক্কেলকেও ওই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে ওই আইনজীবীর দাবি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪ ২০:৫৪
Share:

জয়ন্ত সিংহ। — ফাইল চিত্র।

আড়িয়াদহে মা এবং পুত্রকে মারধরে অভিযুক্ত জয়ন্ত সিংহের বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলায় অন্যদের ফাঁসানোর অভিযোগ করা হয়েছে। জয়ন্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে নতুন মামলাটি করেছেন বেলঘরিয়ার বিজেপি নেতা মৌসম চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার ওই অভিযোগ শুনে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি।

Advertisement

মৌসমের আইনজীবীর বক্তব্য, পুলিশকে হাত করে বিরোধী দলের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন জয়ন্ত। সম্প্রতি তাঁর মক্কেলকেও ওই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে ওই আইনজীবীর দাবি। আরও অভিযোগ, দিন কয়েক আগে তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের হয়। প্রথমে একটি মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাতে জামিন পেলে মৌসমের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রুজু করা হয়। ওই মামলায় আবার তাঁকে গ্রেফতার করে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। সেই সময় পুলিশ দাবি করে, বিপুল পরিমাণ বাণিজ্যিক মাদক উদ্ধার হয়েছে মৌসমের কাছ থেকে। শুক্রবার মৌসমের আইনজীবী সওয়াল করে জানান, ওই মামলাটির তদন্তভার নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-কে দেওয়া হোক। তদন্ত করে দেখা হোক, এত পরিমাণ মাদকদ্রব্য কী ভাবে থানায় এল।

আড়িয়াদহে মা এবং পুত্রকে রাস্তায় ফেলে পেটানোর অভিযোগে তৃণমূল-‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত জয়ন্ত ও তাঁর শাগরেদদের গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁরা জেল হেফাজতে ছিলেন। তার মধ্যে গত সোমবার রাতে আড়িয়াদহের ক্লাবে মারধরের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে (সেটির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি)। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, জয়ন্তের ‘আদালত’ তালতলার ক্লাবে এক জনকে চ্যাংদোলা করে লাঠিপেটা করা হচ্ছে। এই ভিডিয়ো নিয়ে শোরগোল হতেই গ্রেফতার করা হয় জয়ন্ত-সহ ছ’জনকে। বুধবার জয়ন্তকে ব্যারাকপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁকে ছ’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের কলকাতা হাই কোর্টে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement