জাতীয় পরিবেশ আদালত।
বায়ুদূষণ রোধে রাজ্যের তরফে যে যে পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা সন্তোষজনক নয়। সোমবার বায়ুদূষণ সংক্রান্ত মামলায় এমনই মন্তব্য করল জাতীয় পরিবেশ আদালত। দূষণ রোধে সরকারের তরফে কী কী করা হয়েছে, আরও কী কী করা হবে, রাজ্য সরকারকে সেই সম্পর্কে একটি হলফনামা জমা দিতেও বলেছে তারা। কত দিনে রাজ্য পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করবে, ওই হলফনামায় স্পষ্ট ভাবে তার উল্লেখ থাকতে হবে।
বায়ুদূষণ সংক্রান্ত মামলায় এ দিন হাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। মামলার শুনানিতে পরিবেশ আদালত মন্তব্য করে, তারা শুধু নির্দেশ দেওয়ার জন্যই নয়। সেই নির্দেশগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, তা-ও দেখা হবে। মামলার আবেদনকারী পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলছেন, ‘‘পরিবেশ আদালত মন্তব্য করেছে, বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে রাজ্য যেন দিল্লিকে অনুসরণ না করে। সঙ্গে আরও জানিয়েছে, রাজ্য যা যা পদক্ষেপ করছে দূষণ-রোধে তা পর্যাপ্ত নয়।’’ ১০ বছরের পুরনো ডিজেলচালিত গাড়ি ধাপে-ধাপে বাতিল করার কথাও বলা হয়েছে আদালতের তরফে। বায়ুদূষণ রোধে ব্যর্থ হওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারকে একাধিক বার জরিমানা করেছে আদালত।
শুধু বায়ুদূষণই নয়, এ দিনের শুনানিতে সুন্দরবন, পূর্ব কলকাতা জলাভূমি, আদিগঙ্গা-সহ একাধিক বিষয় ওঠে। এ সব ক্ষেত্রে যাতে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তার জন্য মুখ্যসচিবকে ব্যক্তিগত ভাবে উদ্যোগী হতে বলেছে আদালত। সুন্দরবন সম্পর্কে পরিবেশ আদালতের
মন্তব্য, ‘সুন্দরবন এখন বিপন্ন।’ ‘রামসার’ তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও যে ভাবে পূর্ব কলকাতা জলাভূমিতে ধারাবাহিক ভাবে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় আদালতের তরফে। সুভষবাবু বলেন, ‘‘রাজ্যের ৫২টি খাল গঙ্গা দূষণ করে যাচ্ছে। এ দিন সেই সম্পর্কেও সরব হয়েছে আদালত।’’