তুষার মেহতা এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
নারদ গ্রেফতারি মামলা চলাকালীনই ঝগড়া শুরু হল দুই পক্ষের আইনজীবীর মধ্যে। ফিরহাদদের গৃহবন্দি করার রায় নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছিলেন তৃণমূলের সাংসদ আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সিবিআইয়ের আইনজীবী তুযার মেহতা তাঁকে মাঝপথে থামিয়ে দেন বলে অভিযোগ করেন কল্যাণ। এ নিয়ে আদালতে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেন কল্যাণ। শেষে পরিস্থিতি সামলাতে নামতে হয় ৪ নেতা-মন্ত্রীর আইনজীবী এবং কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে। ‘হাসিচ্ছলে’ পরে অবশ্য পরিস্থিতি শুধরে নেন সলিসিটর জেনারেল তুষারও।
নারদ মামলায় সুব্রত-ফিরহাদদের গৃহবন্দি করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বৃহত্তর বেঞ্চে যাওয়ার কথা বলছিলেন কল্যাণ। আদালতকে তিনি বলেন, ‘‘এই মামলা যদি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হয়, তবে তা আজই হোক। আমরা এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত চাই।’’ আদালতে কল্যাণ এই প্রস্তাব রাখার সময়েই বারবার আপত্তি তোলেন সলিসিটর জেনারেল। তাতেই বিরক্ত হন তৃণমূলের সাংসদ। সরাসরি বিচারপতিকে প্রশ্ন করেন, ‘‘ওঁর কথা বলার সময়ে তো আমি কোনও কথা বলিনি! তাহলে আমার বক্তব্য রাখার সময়ে উনি কেন কথা বলছেন? না কি সলিসিটর জেনারেল পদই কি ওঁকে বারবার বাধা সৃষ্টি করার অধিকার দিয়েছে?’’
কিছুক্ষণ পর ফের কল্যাণের কথায় বাধা দেন তুষার। শুক্রবার দুুপুর ২ টো নাগাদ বৃহত্তর বেঞ্চের শুনানি শুরু করার কথা বলছিলেন কল্যাণ। তিনি বলেন, ‘‘যদি সিবিআই ১৭ মে সাড়ে ৫টার সময় আদালতকে শুনানির অনুরোধ করতে পারে তা হলে আমরা পারব না কেন?’’ এই প্রস্তাব রাখার সময় ফের সলিসিটর জেনারেল বাধা দিলে কল্যাণ বলেন, ‘‘এখানে কি শুধু সলিসিটরেরই কথা বলার অধিকার আছে?’’
শেষে পরিস্থিতি সামলান সিঙ্ঘভি। সলিসিটর বলছিলেন, আপাতত আজকের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হলেই তিনি খুশি হবেন। জবাবে সিঙ্ঘভি বলেন, যখন দু’ পক্ষের আইনজীবীই আদালতের রায়ে অসন্তুষ্ট হন, তখন বুঝতে হবে আদালত ভাল রায় দিয়েছে।