মদন মিত্র। ফাইল চিত্র।
এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিচারবিভাগীয় বন্দি মদন মিত্রকে ফের অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নারদ-কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল বিধায়কের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা শুরু হওয়ায় তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণেই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
সোমবার রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় তড়িঘড়ি প্রেসিডেন্সি জেল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল মদনকে। ভর্তি করানো হয় উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর কেবিনে। ভর্তি করানোর পরেই তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল। এপ্রিল মাসের শেষ পর্বে বিধানসভা ভোটের মাঝেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন মদন। বেশ কিছুদিন প্রথমে এসএসকেএম এবং পরে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এখনও তাঁর শরীরে কোভিড-পরবর্তী সমস্যা রয়েছে বলে হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি সূত্র জানাচ্ছে।
মঙ্গলবার ভোররাতে মদনের সঙ্গেই প্রেসিডেন্সি জেল থেকে এনে এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয়েছিল নারদ মামলার আরেক অভিযুক্ত, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যকে। তাঁকে উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৪ নম্বর কেবিনে রাখা হয়। শ্বাসকষ্টের সমস্যার কারণে মঙ্গলবার দুপুরে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০২ নম্বর কেবিনে ভর্তি করানো হয় নারদ মামলায় ধৃত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে।
নারদ-কাণ্ডে ধৃত চতুর্থ অভিযুক্ত, রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার পুরপ্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ (ববি) হাকিম অবশ্য সোমবার রাত থেকে প্রেসিডেন্সি জেলেই রয়েছেন। অভিযুক্ত ৪ নেতাকে সোমবার সকালে গ্রেফতার করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সন্ধ্যায় সিবিআই-এর বিশেষ আদালত অন্তর্বর্তিকালীন জামিন দেয় ওই চার জনকে। কিন্তু রাতে ওই জামিনের নির্দেশ খারিজ করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। তার পর সোমবার রাতেই প্রেসিডেন্সি জেলে আনা হয় তাঁদের।