প্রতীকী ছবি।
নামখানা গণধর্ষণ মামলায় আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনকে খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এর আগে ওই ঘটনায় তিনি নজরদারির দায়িত্বে ছিলেন। মঙ্গলবার রাজ্যের পেশ করা হলফনামায় মামলকারী অসন্তোষ জানানোর পরই উচ্চ আদালত দময়ন্তীকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়। অন্য দিকে, ময়নাগুড়ি ধর্ষণ-কাণ্ডে সঠিক তদন্ত হচ্ছে কি না তা জানতে চাইল আদালত। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ ডিআইজি জলপাইগুড়ির কাছে রিপোর্ট তলব করেছে।
নামখানা ধর্ষণ মামলায় মামলাকারীর আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত আদালতে অভিযোগ করেন, রাজ্য যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তাতে সব তথ্য নেই। নির্যাতিতার জামা, কাপড় উদ্ধার (সিজ) করা হলেও শাঁখা, পলা-সহ বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করেনি। যেখান থেকে রক্তের নমুনা পাওয়া যেত। ওই নির্যাতিতার শরীরে পোড়া দাগ ছিল। অথচ রিপোর্টে সেই কথা উল্লেখ নেই। ঘটনার ১৫ দিন পরও আশানুরূপ তদন্ত করতে পারেনি পুলিশ। যদিও ওই দাবির বিপক্ষে রাজ্যের আইনজীবী জানান, এখনও দময়ন্তীর নজরদারিতেই তদন্ত চলছে।
ময়নাগুড়ি ধর্ষণ-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানান মামলাকারী। তাতে আপত্তি জানিয়ে রাজ্য বলে, আদালতের নির্দেশ মতো পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক দিয়ে তদন্ত হচ্ছে। নির্যাতিতার পরিবারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। এখন এমন কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি যে সিবিআইকে তদন্ত ভার দিতে হবে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট চেয়েছে উচ্চ আদালত। আগামী ২০ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।