—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নিরামিষ হোক কিংবা হোক আমিষ। সাধারণ গৃহস্থের নিস্তার নেই কোথাও!
সোমবার মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিল তাদের ‘ভাত-রুটির খরচ’ শীর্ষক সমীক্ষা রিপোর্টে জানিয়েছে, ডিসেম্বরে বাড়িতে দুই ধরনের থালি রান্নার খরচই এক বছর আগের তুলনায় বেড়েছে। নিরামিষের খরচ নভেম্বরের তুলনায় সামান্য কমলেও মুরগির মাংসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমিষ রান্নার খরচ সেখানেও ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অনেক চেষ্টা করেও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির হার আরও মাথাচাড়া দেওয়ার আশঙ্কায় সুদ কমানোর ঝুঁকিও নিতে পারেনি। এই অবস্থায় আগামী সপ্তাহে দেশের খুচরো ও পাইকারি বাজারের মূল্যবৃদ্ধির হার প্রকাশিত হবে। তার উপরে শীর্ষ ব্যাঙ্কের পরবর্তী ঋণনীতি অনেকটাই নির্ভর করবে। তবে ক্রিসিলের রিপোর্ট আশঙ্কা বাড়াল।
মূল্যায়ন সংস্থাটি জানিয়েছে, গত মাসে বাড়িতে নিরামিষ থালি রান্নার খরচ ৬% বেড়ে হয়েছে ৩১.৬ টাকা। যা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ২৯.৭ টাকা ছিল। তবে নভেম্বরের (৩২.৭ টাকা) তুলনায় খরচ সামান্য কমেছে। অন্য দিকে, এক বছর আগের তুলনায় আমিষ থালির খরচ ১২% বেড়ে পৌঁছেছে ৬৩.৩ টাকায়। এমনকি, নভেম্বরের চেয়েও তা ৩% বেড়েছে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, দুই থালিরই খরচ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ আলু এবং টোম্যাটোর দাম মাথা তোলা। প্রতি কেজি আলুর দাম ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের ৩৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা। টোম্যাটো ২৪ টাকা থেকে ৪৭ টাকায় পৌঁছেছে। আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির জেরে ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে ১৬%। তাপমাত্রা কমার কারণে ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন কমায় তার দামও ২০% বেড়ে গিয়েছে। ফলে রান্নার গ্যাসের দাম ১১% কমলেও তা সামগ্রিক ভাবে রান্নার খরচকে ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি।
আইসিএআইয়ের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনির্বাণ দত্ত বলেন, ‘‘নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে আনাজের দাম কিছুটা কমেছে। তবে শীত চলে গেলে এই দাম কোন দিকে যায়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। তখন দাম মাথাচাড়া দিলে সমস্যা বাড়বে। তবে কেন্দ্র জ্বালানির খরচ কমালে খাবার তৈরির খরচ নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। সরকারের তরফে এই পদক্ষেপ জরুরি।’’