ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টে প্রশ্নের মুখে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মঙ্গলবার কমিশনের কাছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আদালতের নির্দেশের পরও ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কেন অতিরিক্ত সদস্য নিয়োগ করা হল। ওই বিষয়ে কমিশনকে দু’দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে আদালত। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এর আগে ভোটে হিংসার কারণে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। আদালতের নির্দেশ ছিল, ওই কমিটিতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন এবং রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির এক জন করে মোট তিন জন সদস্য থাকবেন। মঙ্গলবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, আদালতের নির্দেশ মানেনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তারা কমিটিতে ১১ জন সদস্য রেখেছেন। যেখানে হাই কোর্ট এক জন রাখতে বলেছিল।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী সুবীর স্যানাল বলেন, আদালতের নির্দেশ মতো তিন সদস্যের কমিটিই গড়া হয়েছে। সাকেত ঝা, রাজু মুখোপাধ্যায় এবং রাজীব জৈন— এঁরা মূল ভূমিকায় থাকবেন। কিন্তু আগে মোট ৪০০টি অভিযোগ ছিল, এখন তা আরও বেড়েছে। ফলে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে লোকবল প্রয়োজন। এর জন্য বৈঠক করা হয়েছিল। তার পরই অতিরিক্ত ১১ জন লোক নেওয়া হয়েছে। ওই বক্তব্য শুনে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘এই বিষয়ে আদালতকে অবহিত করা উচিত ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি!’’