চলছে প্রশিক্ষণ। ডোমকলে কল্লোল প্রামাণিকের তোলা ছবি।
খুদেদের জন্য ফুটবল প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছে ডোমকল স্পোর্টিং ক্লাব। নতুন প্রজন্মকে ফুটবলমুখী করতেই এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। চলতি বছরের ১৫ অগস্ট থেকে শুরু হয়েছে ওই শিবির। শুরুর দিকে জনা কয়েক বাচ্চা ভর্তি হলেও সংখ্যাটা এখন ৫০ ছাড়িয়েছে।
উদ্যোক্তাদের দাবি, বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের খেলাধুলোতে তেমন আগ্রহ নেই। তার ফলে শুধু তাদের মানসিক বিকাশ নয়, শারীরিক বিকাশও ব্যাহত হচ্ছে। যা চিন্তায় ফেলছে বাবা-মায়েদেরও। সেই কারণে প্রথম থেকে ফুটবল খেললে পরবর্তীতে তার সুফল মিলবে। একজন প্রশিক্ষক রেখে মাস খানেক ধরে চলতে থাকা ওই ক্যাম্পে কেবল ডোমকল নয়, ডোমকল থেকে ২০ কিমি দূরের কুশাবাড়িয়া বা পার্শ্ববর্তী টিকটিকিপাড়া, ভাতশালা, রমনা এলাকার অনেক কচিকাঁচাই এখন প্রশিক্ষণ নিতে আসছে। কর্তাদের আশা, এর ফলে যেমন খেলাধুলার প্রতি নতুন প্রজন্মের আগ্রহ বাড়বে। তেমনি ভবিষ্যতে বহু ফুটবলার এখান থেকেই উঠে আসবে।
ডোমকল স্পোর্টিং ক্লাবের সম্পাদক দেবাংশু সরকার বলেন, “কচিকাঁচাদের সংখ্যা বাড়ছে দেখে খুব ভাল লাগছে।” ডোমকলের কুশাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা তথা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ওহিদুল ইসলাম বলেন, “ডোমকল মহকুমা লিগ শুরুর পর থেকে মহকুমার ক্লাবগুলি ভাল খেলোয়াড় পেতে মোটা টাকার বিনিময়ে মহকুমার বাইরে থেকে খেলোয়াড় এনে খেলাচ্ছে। নতুন প্রজন্ম ফুটবলমুখী হলে সেই ঘাটতি মিটবে।”
প্রশিক্ষক সন্টু চৌধুরী বলেন, “আমাদের ক্যাম্পে ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সী ছেলেরা রয়েছে। তাদের বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে যতটা সম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে তাদের মতো করে প্রশিক্ষণ দেওয়ার।” তিনি জানান, এদের মধ্যে অনেকেই প্রতিভাবান। একটু গাইড পেলেই ওরা ভাল খেলবে। অভিভাবক প্রকাশ মাহেশ্বরী বলেন, “টিউশন আর স্কুলের ভারী ব্যাগ বইতে বইতে ওরা ক্লান্ত। এবার একটু খেলুক। না হলে শারীরিক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে।” আরও এক অভিভাবক আসতক দফাদারের দুই ছেলে ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ শিবিরেই নজর কেড়েছে সকলের। আসকতকের কথায়, “ভাগ্যিস ক্যাম্পটা শুরু হয়েছিল। না হলে জানতেই পারতাম না যে ফুটবলের প্রতি ওদের এত আগ্রহ।”