Coronavirus

কোয়রান্টিন কেন্দ্রে করোনায় আক্রান্ত যুবক

৯৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, দু’জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে এবং ১৯ জন করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২০ ০৪:১১
Share:

প্রতীকী ছবি

ভিন্ রাজ্য ফেরত পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকের আলাদা থাকার ঘর নেই, আবার অনেকেই হোম কোয়রান্টিনের নিয়ম মানছেন না— গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এমনই অভিযোগ উঠছিল। ফলে ভিন্ রাজ্য ফেরত পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য জেলার স্কুলগুলিকে কোয়রান্টিন কেন্দ্র করে রাখা হয়েছে। এ বার সেই কোয়রান্টিন কেন্দ্রে থাকা দুই যুবক করোনা আক্রান্ত হলেন। লেওই দু’জনের সঙ্গে মহারাষ্ট্র যোগ রয়েছে। তাঁদের জলঙ্গি ও শমসেরগঞ্জের দু’টি কোয়রান্টিন কেন্দ্র থেকে এনে বহরমপুরে মাতৃসদন করোনা হাসপাতা ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

ওই দু’জন-সহ শুক্রবার জেলায় মোট সাত জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই সাত জনকে নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১৯ জন। ৯৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, দু’জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে এবং ১৯ জন করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘শুক্রবার জেলায় সাত জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’

Advertisement

জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জলঙ্গির সাগরপাড়ার মহারাষ্ট্র ফেরত এক যুবকের করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। শনিবার সকালে তাঁকে বহরমপুরে মাতৃসদন করোনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই যুবক দিন পাঁচেক আগে গ্রামে ফিরতেই তাঁকে অন্যদের সঙ্গে স্থানীয় বালিকা বিদ্যালয়ে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রাখা হয়। সেখানে অন্য ৭০ জনের জনের সঙ্গে তাঁর ঠাঁই হয়েছিল। তাঁর গলা ব্যথা করায় কয়েক দিন আগে লালারস সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য দফতর। শুক্রবার রাতেই তাঁর করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে।

শমসেরগঞ্জের হাসিমপুরের মুম্বই ফেরত এক যুবকের করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। গত ২ জুন অন্য তিন জনের সঙ্গে ওই যুবক মুম্বই থেকে গ্রামে ফিরেছেন। গ্রামে ফিরতেই সোনার কারিগর ওই চার যুবককে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার ওই যুবকের করোনা পজ়িটিভ হয়েছে।

নবগ্রামের চানকের পুলিশের এক এএসআই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি নদিয়ার জেলা কৃষ্ণনগর পুলিশ লাইনে কর্মরত। অসুস্থ হওয়ায় ১ জুন ছুটিতে কৃষ্ণনগর থেকে গ্রামের বাড়ি ফেরেন। ৩ জুন তাঁর লালারস সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য দফতর। শুক্রবার তাঁর করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। শনিবার তাঁকে মাতৃসদনের ভর্তি করানো হয়েছে।

শক্তিপুরের বাছড়ার দিল্লি ফেরত এক যুবক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ৩০ মে তিনি বাড়ি ফিরেছেন। ২ জুন তাঁর লালারস সংগ্রহ করেছে। এ দিন তাঁকে মাতৃসদনে ভর্তি করা হয়েছে। বেলডাঙার মহ্যমপুরের মহারাষ্ট্র ফেরত ৪২ বছরের এক ব্যক্তি গত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি ২৯ মে মহারাষ্ট্র থেকে বাড়ি ফিরেছেন।

সুতি ১ ব্লকের সিধোরী গ্রামে মহারাষ্ট্র ফেরত দুই ভাইয়ের করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। শনিবার তাঁদের করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই দু’জন মহারাষ্ট্রে শ্রমিকের কাজ করতেন। ১২ দিন আগে গ্রামে ফিরে ঘরেই থাকছিলেন। শুক্রবার রাতে তাঁরা করোনা পজ়িটিভ হতেই এলাকা আটকে দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement