প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
উত্তরপ্রদেশের বহরাইচে এখনও কাটেনি নেকড়ে আতঙ্ক। তার মধ্যেই এ বার চিতাবাঘের আতঙ্কে তটস্থ রাজস্থানের উদয়পুর। সকলের নজরের আড়ালে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল এক কিশোরীকে। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই চিতাবাঘের কবলে প্রাণ হারালেন আরও এক জন! পর পর দুই ঘটনায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা শুক্রবার পথ অবরোধ করেন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার উদয়পুরের উনদিথাল গ্রামের বাসিন্দা ১৬ বছর বয়সি কমলা ছাগল চড়াতে বেরিয়েছিল। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও সে বাড়ি ফেরেনি। গ্রামবাসীরা কমলার খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু সে রাতে তার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে জঙ্গলের মধ্যে কমলার দেহ পাওয়া যায়। তার শরীর জঙ্গলের ভিতরে চার কিলোমিটার টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই উনদিথালের প্রতিবেশী গ্রামে ছড়ায় চিতাবাঘ আতঙ্ক। বৃহস্পতিবার ভেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা খেমারাম তাঁর ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে চিতাবাঘের কবলে পড়েন। তাঁর ছেলে পালাতে সক্ষম হলেও খেমারামকে টেনে জঙ্গলে নিয়ে যায় চিতাবাঘ। তাঁর নাবালক পুত্র যখন গ্রামবাসীদের ডেকে জঙ্গলের মধ্যে প্রবেশ করেন, তখন দেখেন খেমারাম মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। তাঁর ঘাড়ে চিতাবাঘের কামড়ের দাগ।
কমলা এবং খেমারামের মৃত্যুতে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বনকর্মীরা। হামলাকারী চিতাবাঘের খোঁজ শুরু করেছেন তাঁরা। অনেকেই দাবি করছেন, মানুষখেকো চিতাবাঘই ঘুরছে গ্রামে গ্রামে। তবে সেই দলে কতগুলো চিতাবাঘ রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।