গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
বিবাহিতা প্রতিবেশীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রেমে জড়িয়ে পড়েছিলেন এক যুবক। তাঁদের গোপন অভিসার প্রথমে খেয়াল করেন পাড়াপড়শিরা। জানতে পারেন ‘প্রেমিকা’র স্বামীও। সম্প্রতি তিনিই ওই যুবককে নিজের বাড়িতে স্ত্রী-র সঙ্গে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। গত শনিবারের এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে এলাকা থেকে।
ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ভীমপুর থানার কুলগাছি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে একটি ডুমুর গাছে ঝুলছিল দেহটি। এলাকাবাসীদের অনুমান অপমানে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। যদিও মৃত যুবকের পরিবার তাঁর ‘প্রেমিকা’ এবং প্রেমিকার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মৃত যুবকের নাম দেবব্রত দাস। বয়স ২৭। কুলগাছির দক্ষিণপাড়া এলাকায় দীর্ঘ দিনের বাসিন্দা তিনি। বাড়িতে দুই ভাই বোন আর এক বৃদ্ধা মা রয়েছেন। দেবব্রতই ওই পরিবারের উপার্জনকারী। চাষের কাজ করে সংসার চালাতেন। অভাবের কারণে মাধ্যমিকের বেশি পড়াশোনা এগোয়নি তাঁর। সম্প্রতি পাশের বাড়ির এক বিবাহিতা মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দেবব্রত।
পুলিশ জানিয়েছে, দেবব্রতর বাড়ির পাশেই থাকতেন সঞ্জিৎ বিশ্বাস। বছর দু’য়েক আগেই তাঁর বিয়ে হয় পাপিয়া বিশ্বাসের সঙ্গে। ওই দম্পতির এক সন্তানও আছে। পুলিশকে দেবব্রতর প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সঞ্জিতের অনুপস্থিতিতে প্রায়ই তাঁর বাড়িতে হাজির হতেন দেবব্রত। বিষয়টি প্রথমে প্রতিবেশীদের নজরে পড়ে। পরে সঞ্জিৎও জানতে পারেন।
গত শনিবার সঞ্জিৎ যখন বাড়ির বাইরে ছিলেন, তখন আবারও ‘প্রেমিকা’র কাছে এসেছিলেন দেবব্রত। কিন্তু সঞ্জিৎ সময়ের আগে সন্ধে ৬টা নাগাদ বাড়ি ফিরে আসেন। হাতেনাতে ধরে ফেলেন দু’জনকে। পরে প্রতিবেশীরাও এসে হাজির হন ঘটনাস্থলে। অভিযোগ, মারধরও করা হয় দেবব্রতকে। এর পর হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান দেবব্রত।
পুলিশকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিষয়টি দেবব্রতর আত্মীয়দের জানানো হলে তাঁরা প্রথমে গুরুত্ব দেননি। পরে বাড়ির কাছেই একটি ডুমুর গাছে যুবকের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গেলে তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। সঞ্জিৎ এবং তাঁর স্ত্রী-র বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। নদিয়া জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দু’জনকেই গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।