ফাইল চিত্র।
মোদী সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্প ঘিরে উত্তাপের আবহেই অগ্নিবীরদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে রীতিমতো ‘বেকায়দায়’ বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। অগ্নিবীরদের বিজেপি অফিসে দারোয়ান হিসেবে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন বাংলার একদা বিজেপি পর্যবেক্ষক। কৈলাসের এই মন্তব্যের পাল্টা সুর চড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক তথা এক সময়ের বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়।
আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদন উল্লেখ করে কৈলাসকে বিঁধে বালিগঞ্জ কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়কের টুইট, ‘মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। এই সেই ‘প্রভারী’ যিনি বাঙালিদের ‘বিদ্রুপ’ করতে, বোকা বানাতে এসেছিলেন। ওঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও তার পর পদ এবং দলটাই ছেড়ে দেওয়ার সাহস দেখাতে পেরেছি, এটা ভেবে আনন্দিত হই। জাহান্নামে যাক বিজেপি...।’ (টুইটের ভাষা ও বানান পরিবর্তিত)।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় পদ্ম শিবিরের ‘অভূতপূর্ব’ উত্থানের পর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কুর্সি দখলের লড়াইয়ে ঝাঁপিয়েছিলেন মোদী-শাহরা। সে সময় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হিসেবে ‘গুরুদায়িত্ব’ দেওয়া হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের নেতা কৈলাসকে। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কাছে হারতে হয়েছে বিজেপিকে। তার পর থেকেই কার্যত বাংলা থেকে ‘বেপাত্তা’ কৈলাস। এ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বিস্তর চর্চাও হয়েছিল। অগ্নিবীরদের নিয়ে কৈলাসকে টার্গেট করতে গিয়ে পুরনো সেই প্রসঙ্গ টেনে বাবুল খোঁচা দিলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
অগ্নি-বিক্ষোভে যখন দেশের একাধিক রাজ্যে হিংসাত্মক আন্দোলন চলছে, সেই আবহে সেনায় চাকরির আশায় বুঁদ হয়ে থাকা দেশের তরুণদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা চালাতে উদ্যত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অগ্নিপথ প্রকল্পে বেশ কিছু বিধি শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে রবিবার ইনদওরে বিজেপির একটি কার্যালয়ে কৈলাস বলেন, ‘‘আমাকে যদি এই অফিসে, বিজেপির অফিসে সিকিউরিটি রাখতে হয়, তাহলে আমি অগ্নিবীরদের অগ্রাধিকার দেব।’’ কৈলাসের এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই সোচ্চার হয়েছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। সেই তালিকায় এ বার জুড়ল তৃণমূলের বাবুলের নাম।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।