বধুকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের। প্রতীকী চিত্র।
ফোনে ব্লক করায় বাড়িতে চড়াও হয়ে বধূকে ছুরি দিয়ে খুন করল প্রেমিক। তার পর বাড়ি ফিরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই যুবক। বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার নবদ্বীপের মহিশুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়ের মাঠ এলাকায়। ওই যুবককে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছেন নিহত বধূর স্বামী। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ওই বধূর নাম অনামিকা দাস (২৭)। তাঁর স্বামী উজ্জ্বল দাস পেশায় দিনমজুর। অনামিকার সঙ্গে স্থানীয় যুবক অনিল মাহাতোর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। কাজের সূত্রে দিনের বেশির ভাগ সময় বাড়ির বাইরে কাটান উজ্জ্বল। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতা বোধ করায় বুধবার সকালে হঠাৎ বাড়ি ফিরে আসেন উজ্জ্বল। সেই সময় তড়িঘড়ি প্রেমিক অনিলের ফোন নম্বর ব্লক করে দেন অনামিকা। দীর্ঘ ক্ষণ তাঁকে ফোনে না পেয়ে অনামিকার বাড়িতে চড়াও হন অনিল। কিছু ক্ষণ বচসার পর অনিল আচমকা ধারালো ছুরি নিয়ে অনামিকার উপর এলোপাথাড়ি আঘাত করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। অনামিকার মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়ির পিছনে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনিলও। তবে তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয় নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করানো হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উজ্জল এবং অনামিকার দুই পুত্র সন্তান আছে। তবে গত দু’বছর থেকে অনিলের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। অনামিকার মৃত্যুর পর অনিলের বিরুদ্ধে নবদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উজ্জ্বল। তাঁর অভিযোগ, ‘‘অনিল আমার স্ত্রীকে বিরক্ত করত। ও তার প্রতিবাদ করায় খুন করেছে। আমি ওর ফাঁসি চাই।’’
অবশ্য অনামিকার প্রতিবেশী সুপ্রিয়া দাস বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে উজ্জ্বলের সঙ্গে অনামিকার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমরা এলাকার সকলেই সেটা জানতাম। অনামিকার কারণেই বিয়ে করেনি উজ্জ্বল।’’ এ নিয়ে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পাল বলেন, ‘‘দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’