Nadia

ছেলেকে দেখে কাজে ফেরার পথে প্রেমিকের হাতে খুন! শান্তিপুরে মৃতার পরিচয় জানাল পুলিশ

স্থানীয় সূত্রে খবর, রানাঘাটের বাসিন্দা কিশোরী রাখি অনেক বছর আগে থেকে পাড়ার এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়ান। পরে তাঁদের বিয়ে হয়। তবে ছাড়াছাড়িও হয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৩ ২০:০১
Share:

রানাঘাট থানার বাসিন্দা রাখিকে তাঁর ‘প্রেমিক’ খুন করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করছে পুলিশ। —প্রতীকী চিত্র।

নদিয়ার শান্তিপুর জাতীয় সড়কের পাশে আম বাগান থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত পরিচয় যুবতীর পরিচয় জানতে পারল পুলিশ। মৃতার নাম রাখি মণ্ডল (২০)। রানাঘাট থানার বাসিন্দা রাখিকে তাঁর ‘প্রেমিক’ খুন করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করছে পুলিশ। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, রানাঘাট থেকে কাঁচরাপাড়া যাওয়ার সময় স্টেশন থেকে রাখিকে অপহরণ করে খুন করা হয়। তার পর দেহ আম বাগানে ফেলে পালিয়ে যান আততায়ী। খুনের কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, রানাঘাটের বাসিন্দা কিশোরী রাখি অনেক বছর আগে থেকে পাড়ার এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়ান। পরে তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু ওই বিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বছর খানেক পর শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে দিয়ে বাপের বাড়ি ফিরে যান রাখি। সঙ্গে ছিল তাঁর একমাত্র পুত্র সন্তান। কাঁচড়াপাড়া রেল স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলে একটি কাজ নেন রাখি। কাজের সুবিধার জন্য কাঁচড়াপাড়া এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। সেখানে একাই থাকতেন। ছেলে থাকে রাখির মায়ের কাছে। তবে মাস কয়েক মাস আগে পালপাড়ার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে আবার সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি।

রাখির পরিবার সূত্রে খবর, কাঁচড়াপাড়ায় তাঁর একা ঘর ভাড়া নেওয়া নিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে অশান্তি শুরু হয়। অন্য দিকে, রাখিও ওই কাজ ছা়ড়তে রাজি হননি। এর ফলে দু’জনের সম্পর্কের অবনতি হয়। বিচ্ছেদ ঘটে তাঁদের। রবিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মা এবং ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাখি। রাত ১০টা নাগাদ রানাঘাট থেকে কাঁচড়াপাড়া যাওয়ার ট্রেন ধরার কথা ছিল তাঁর। রাখির মায়ের অভিযোগ, ‘‘রানাঘাট থেকে ট্রেন ধরে কাঁচড়াপাড়া যাওয়ার সময় আমার মেয়েকে অপহরণ করে নকুল নামে রাখির ওই প্রেমিক। ওকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য আম বাগানে দেহ ফেলে চলে যান তিনি।’’

Advertisement

রাখির পরিবারের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছে, খুনের পর রাখির মোবাইল থেকে কাঁচরাপাড়ায় যে বাড়িতে তিনি থাকতেন তার মালিকের ফোন নাম্বার খুঁজে বের করে ফোন করেন ওই যুবক। জানান, রাখি খুন হয়েছেন কিন্তু ওই নম্বরে পরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে আর পাওয়া যায়নি যুবককে। রাত সাড়ে ৩টা নাগাদ রাখির বাড়িতে পৌঁছান কাঁচড়াপাড়ার সেই বাড়ির মালিক। তিনি সবটা খুলে বলেন রাখির পরিবারকে। এর পর রাখিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেছিলেন তাঁরা। এ নিয়ে রানাঘাট পুলিশ সুপার কে কন্নান বলেন, ‘‘তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে পরিচয় উদ্ধার করা গিয়েছে। এখন খুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement