প্রতীকী চিত্র।
দু’দিন ধরে মোবাইলটা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। অথচ তিনি বাড়ি থেকেই বার হননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও মোবাইল না-পেয়ে দেওরকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তিনি কোথাও মোবাইলটা দেখেছেন কি না! তাতেই চটলেন যুবক। বধূকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তাঁর দেওর এবং শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে। বধূর অভিযোগ, মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলের রায়পুর শীতলনগর এলাকার ঘটনা। আক্রান্ত ওই বধূ বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, আক্রান্ত মহিলার নাম সেলিনা বিবি। কয়েক দিন ধরে মোবাইল ফোনটি খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। কিন্তু বাড়ির বাইরেও বেরোননি। তাই দেওরকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি কোথাও মোবাইলটি দেখেছেন কি না। তাতেই চটে যান যুবক। বৌদি কি ভাবছেন, তিনি মোবাইলটি চুরি করেছেন? এই অভিযোগে বৌদির গায়ে হাত তোলেন বলে অভিযোগ। আর তাতে সঙ্গ দেন শ্বশুর-শাশুড়িও।
মারধরের জেরে অচৈতন্য হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সেলিনা। প্রতিবেশীরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে ওই বাড়িতে যান। তাঁরা সেলিনাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরাই উদ্যোগী হয়ে বধূকে ডোমকল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করান। কিন্তু সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। পরে দেওর, শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সেলিনা। তিনি বলেন, “আমি শুধু জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আমার ফোনটা দেখেছ? তাতেই এই ভাবে মারধর করল ওরা!’’
অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।