প্রতীকী ছবি।
চার বছর আগে কংগ্রেস ছেড়ে শাসকদলে যোগ দিতেই মিলেছিল পুলিশি নিরাপত্তা। জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদে বসলে দু’বছর আগে নিরাপত্তাকর্মী সংখ্যা একজন থেকে বাড়িয়ে দু’জন করা হয় মোশারফ হোসেনের। দলের সঙ্গে ‘দূরত্ব’ তৈরি হওয়ায় মোশারফ ওরফে মধু-র সেই নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে সমালোচনায় মুখর বিরোধীরা। তাঁরা আড়ালে এ-ও বলছেন, ‘সভাধিপতির নিরাপত্তারক্ষী সরিয়ে নেওয়া অসংবিধানিক।’’ সভাধিপতি নিরাপত্তা রক্ষীহীন, অথচ শাসকদলের মেজ-সেজ নেতারা কী করে নিরাপত্তারক্ষী পাচ্ছেন, সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।
জেলার পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। উত্তর দেননি এসএমএসেরও। তবে জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের যুক্তি, ‘‘কার, কী ধরনের নিরাপত্তা লাগবে, তা পুলিশ রিপোর্টের ভিত্তিতেই ঠিক হয়।’’
তবে বুধবার মোশারফ বলেন, ‘‘নিরাপত্তারক্ষী সরানো হল কেন, তা জানতে চেয়ে পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে অভিযোগ জানিয়েছি।’’ মুর্শিদাবাদে বিভিন্ন দলের সাংসদ, বিধায়ক, একাধিক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা মিলিয়ে প্রায় ৫০ জনকে সরকারি নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়। তালিকায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহকারী সভাধিপতি, দু’জন কর্মাধ্যক্ষের পাশাপাশি শাসকদলের একাধিক নেতাও রয়েছেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান ,দলের নেতা সৌমিক হোসেন, অরিত মজুমদার, অশোক দাস, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম, রাজীব হোসেনরাও নিরাপত্তা পান। তা দেখে অনেকেরই অনুমান, ‘‘দলের নির্দেশ না মানাই মোশারফের নিরাপত্তা তোলার নেপথ্যে।’’ এদিন কান্দিতে সভার পর জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অশোক দাস ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে বলেন, “যারা দলে থেকে বিরুদ্ধাচরণ করবে, তাদের কি দল মিঠাই খাওয়াবে?’’