বঙ্গ কুম্ভমেলার প্রস্তুতি চলছে। কল্যাণীতে। নিজস্ব চিত্র
প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছিল আগেই। আজ, শুক্রবার কল্যাণীর কাঁচড়াপাড়া পঞ্চায়েতের মাঝেরচরে শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ঘাট এলাকায় প্রায় ছ’একর জমি নিয়ে শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনের ‘বঙ্গ কুম্ভমেলা’। মূলত ‘সনাতন সংস্কৃতি সংসদ’ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে শতাধিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করে আয়োজিত এই মেলায় খরচের বহর যেমন, আয়ের সম্ভাবনাও বিপুল।
* আনুমানিক খরচ: প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা।
* এর মধ্যে মণ্ডপ বাবদ: প্রায় ন’লক্ষ টাকা, বাড়তে পারে।
* আলো বাবদ: দেড় থেকে দু’লক্ষ টাকা।
* বিদ্যুৎ বাবদ: প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
* দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা প্রায় দু’হাজার সাধুসন্তের প্রণামী ৫০০ টাকা করে: প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। সেই সঙ্গে রয়েছে রাহাখরচ।
* আগামী শনি ও রবিবার প্রায় ১০ হাজার তীর্থযাত্রীর জন্য দুপুরের প্রসাদ খিচুড়ি ও একটি তরকারি: আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকা খরচ।
* মঙ্গলবার আরও ১০ হাজার তীর্থযাত্রীর দুপুরের প্রসাদ: আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকা।
* প্রায় পাঁচশো সাধুসন্তের দু’বেলা থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। অন্ন প্রসাদে ভাত, ডাল, দু’রকম তরকারি, পোলাও, রাতে লুচি, ছোলার ডাল, দু’রকমের তরকারি, মিষ্টি: আনুমানিক এক লক্ষ টাকা।
* এছাড়া অন্যান্য খরচ তো আছেই।
এত টাকার জোগান আসছে কোথা থেকে? পুরোটা না হলেও আয়ের উৎসের কিছুটা আঁচ পাওয়া গিয়েছে। যেমন—
* ইস্কন শনি ও রবিবার ১০ হাজার তীর্থযাত্রীর প্রসাদের খরচ দেবে।
* সোমবার ১০ হাজার তীর্থযাত্রীদের দুপুরের প্রসাদের খরচ বহন করবে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ
* বিদ্যুতের খরচ দেবে সনাতন সংস্কৃতি সংসদ।
* মেলা প্রাঙ্গণে ৫০টি বুক স্টল করা হয়েছে, প্রতিটি থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
* সাধারণ মানুষ ইচ্ছা করলে মেলা প্রাঙ্গণের অফিসে সাধুসেবা, আরতি, পুজোপাঠ বাবদ দান করতে পারেন। আবার নাম-গোত্র দিয়ে ধুনী প্রজ্জ্বলন করতে চাইলে ২০০১ টাকা প্রণামী দিতে হবে।
* এ ছাড়া মেলা জুড়ে প্রণামী বাক্স রাখা হচ্ছে।
আয়োজকেরা জানাচ্ছেন, মেলা যুক্ত হয়েছে ১০৮টি ধর্মীয় সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে ইস্কন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, কাঠিয়া বাবা পরম্পরা আশ্রম, নাথ পরম্পরা আশ্রমের মতো বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সনাতন সঙ্ঘ এদের একত্রিত করেছে। এ ছাড়া ছোট-ছোট সংগঠন এবং নানা মঠ-মন্দির তথা এলাকার মানুষও সাহায্য করেছেন। সনাতন সংস্কৃতি সংসদের সম্পাদক স্বামী নির্গুণানন্দ মহারাজ বলেন, “মেলা শেষ হলেই বোঝা যাবে, খরচের বহর কেমন দাঁড়াল।”
অর্থাগমের সঙ্গে মিলিয়ে আর্থিক লাভক্ষতির অঙ্কটাও কষে ফেলা যাবে।