সাংবাদিক বৈঠকে মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস। —নিজস্ব চিত্র।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর্ব মিটে যাওয়ার পর বহরমপুরে প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস। পুরভোটে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বুধবার বিকেল তিনটে পর্যন্ত ছিল। মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যান্য পুরসভার প্রার্থিতালিকা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু বাকি ছিল বহরমপুর পুরসভার প্রার্থিতালিকা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর্ব মিটে যাওয়ার পরে বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করা হয়। তবে কংগ্রেসের এই ‘কৌশল’ নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারি রাজ্যের অন্যান্য পুরসভার সঙ্গে বহরমপুরেও নির্বাচন। বুধবার বিকেলে বহরমপুরে জেলা কংগ্রেসের দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করা হয়। ঘটনাচক্রে এ দিনই ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। কেন এত গোপনীয়তা? এর উত্তরে জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাসের ব্যাখ্যা, ‘‘এক একটি দলের পদ্ধতি এবং নীতি আলাদা। তাই আমরা সর্বশেষ তালিকা তুলে ধরলাম। মনোনয়নপত্র জমাও শেষ। কিছু ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা ছিল।’’
বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করছে তৃণমূল। জেলার তৃণমূল নেতা অশোক দাসের কথায়, ‘‘সিপিএমের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে কংগ্রেস আজ মুছে গিয়েছে। আজ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। শেষ দিনে তারা প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরে। ওদের ধিক্কার জানাই।’’
কংগ্রেস শিবির সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, প্রার্থীদের উপর যাতে আক্রমণ না হয়, সে কথা মাথায় রেখে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর সম্পূর্ণ প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কংগ্রেস শিবিরের বক্তব্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে ‘শিক্ষা’ নিয়েই পুরভোটে এই ‘পদক্ষেপ’ করা হয়েছে। তবে কংগ্রেসের একটি শিবিরের অবশ্য বক্তব্য, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে প্রার্থীদের পরিচয় প্রকাশ্যে এলে বহরমপুরে দলে ভাঙন তৈরি হওয়ার আশঙ্কাও ছিল।