খুশির হাওয়া সাঁইথিয়ার তৃণমূল শিবিরে। —নিজস্ব চিত্র।
বজবজের মতো বীরভূমের সাঁইথিয়া পুরসভাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করল তৃণমূল। পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছেন জোড়াফুল শিবিরের প্রার্থীরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সাইঁথিয়া পুরসভার বাকি তিনটি আসনে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই হতে চলেছে বাম প্রার্থীর। সাঁইথিয়া পুরসভার কোনও আসনেই প্রার্থী নেই বিজেপি-র।
বুধবার বিকেল ৩টে পর্যন্ত পুরভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল। বীরভূমের তৃণমূল নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, সাইঁথিয়া পুরসভার ১৩টি আসনই তাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় করেছেন। বাকি তিনটি আসনে অবশ্য ভোট হবে। ওই আসনগুলিতে বামেরা মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। ভোটের আগে সাঁইথিয়া পুরসভা দখল করে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল শিবির। যদিও সন্ত্রাসের অভিযোগ করছে বিরোধীরা।
তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কথায়, ‘‘কেউ প্রার্থী না পেলে কি তার জন্য তৃণমূল দায়ী? বোলপুরে বিজেপি নাটক করেছে। আমার ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছে বাইরের এক জনকে। ওদের লোকজন নেই।’’ তৃণমূলের সন্ত্রাসের অভিযোগ শুনে চ্যালেঞ্জের সুরে অনুব্রতর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘একটা ভিডিয়ো দেখান যেখানে তৃণমূল ঝামেলা করেছে? ওরা প্রার্থী দিতে পারল না আর দোষ হল তৃণমূলের?’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমরা ভোট চাই। আমি ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত ভোট করব। আমি আগেও বলেছিলাম পুরভোট করব।’’ বিরোধী প্রার্থী না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের ঠিকা নিয়ে রাখিনি। তা হলে ওরা এক কাজ করুক, দলীয় প্রতীকগুলো আমাদের দিয়ে দিক। আমরা ব্যবস্থা করে দেব।’’
অবশ্য বিজেপি-র জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার অভিযোগ, ‘‘প্রার্থী দিতে পারিনি নয়, আমাদের প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূল নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে এমন পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। সিউড়িতেই প্রার্থীদের কানে বন্দুক ঠেকানো হয়েছে। এমন চললে মানুষের জীবনে ভয়ঙ্কর দিন নেমে আসবে।’’