তৃণমূল বিধায়ক তথা বিড়ি শিল্পপতি জাকির হোসেন। —ফাইল চিত্র।
রাজ্য সরকার জঙ্গিপুরে মেডিক্যাল কলেজ খোলার জন্য অনুমতি দিল তৃণমূল বিধায়ক তথা বিড়ি শিল্পপতি জাকির হোসেনকে। তবে এই অনুমতি কার্যকরী হবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে। কারণ রাজ্যে কোনও মেডিক্যাল কলেজ খুলতে গেলে ২০১৯ সালের নয়া আইন মোতাবেক ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের ২৬ ধারা অনুযায়ী অনুমোদন বাধ্যতামূলক।
এই মেডিক্যাল কলেজ গড়ছে মূলত একটি ট্রাস্ট, যার সভাপতি দীপক কুমার দাস ও চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। এই কলেজের সঙ্গেই থাকবে ৭০০ শয্যার হাসপাতাল। জঙ্গিপুরকে জেলা করার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। সেই পথে আরও এক ধাপ এগনো হবে মেডিক্যাল কলেজ ও ৭০০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করা গেলে।
পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে শনিবার শর্ত সাপেক্ষ অনুমোদনের কথা লিখিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে জাকির হোসেন মেডিক্যাল কলেজ ও রিসার্চ ইন্সটিটিউটকে। ১৫০ আসনের এমবিবিএস কোর্স চালু করা যাবে সেখানে। তবে তা চালু হবে তিন বছরে ৫০, ১০০ এবং ১৫০ জন পড়ুয়া ভর্তির ভিত্তিতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় তদন্ত কমিটির দেওয়া রিপোর্ট অনুসারেই এই মেডিক্যাল কলেজ খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই অনুমতি আগামী তিন বছর পর্যন্ত কার্যকরী থাকবে অর্থাৎ তিন বছরের মধ্যে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে এই মেডিক্যাল কলেজ চালু করতে হবে।
দীপককুমার জানান, ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের (পুরনো ৩৪ নম্বর) পাশে ২৫ একর জমিতে এই কলেজ তৈরি হবে জামুয়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রসাদপুর গ্রামে। কমিশনের অনুমতির পরে বছর খানেকের মধ্যেই আশপাশের নিজস্ব ভবনে এই কলেজ শুরু করার ইচ্ছে রয়েছে তাঁদের।
চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, ‘‘চেষ্টা করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেডিক্যাল কলেজ চালু করতে।’’
কিন্তু প্রশ্ন, রাজ্য অনুমতি দিলেও সেই প্রস্তাব সম্পূর্ণ মানে না কমিশন। গত বছর দেশে ৫০টি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেয় কমিশন, যার ২৯টাই সরকারি মেডিকেল কলেজ। পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ২টি নতুন মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার একটিও সরকারি নয়। বর্তমানে রাজ্যে প্রতিটি জেলায় একটি করে মেডিক্যাল কলেজ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। জাকিরের মেডিক্যাল কলেজকে
তার একটি।