Ecotourism

জঙ্গলের ভিতর তাঁবুতে রাত্রিবাস, করা যাবে নাইট ওয়াক, ঘরের কাছে শীঘ্রই শুরু করছে বন দফতর

জেলায় বাড়বে কর্মসংস্থানও। এমনটাই আশা প্রশাসনের। অদূর ভবিষ্যতে জলদাপাড়ার মতো এখানেও হাতি সাফারি শুরু করার পরিকল্পনাও রয়েছে বন দফতরের।

Advertisement

প্রণয় ঘোষ

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:৪০
Share:

ঘরের কাছেই জঙ্গল সাফারির ব্যবস্থা শুরু করছে রাজ্য বন দফতর। — নিজস্ব চিত্র।

ঘন জঙ্গলে রোমাঞ্চকর জঙ্গল সাফারি। জঙ্গলের ভিতর তাঁবুতেই রাত্রিবাস! এ সব পেতে আর খুব দূরে যেতে হবে না। ঘরের কাছেই এই ব্যবস্থা শুরু করছে রাজ্য বন দফতর। কৃষ্ণনগর সংলগ্ন বাহাদুরপুর জঙ্গলে মিলবে এ সব সুযোগসুবিধা। সেই সঙ্গে জেলায় বাড়বে কর্মসংস্থানও। এমনটাই আশা প্রশাসনের। অদূর ভবিষ্যতে জলদাপাড়ার মতো এখানেও হাতি সাফারি শুরু করার পরিকল্পনাও রয়েছে বন দফতরের। পাশাপাশি, বনাঞ্চলের আশপাশে থাকা স্থানীয় আদিবাসী, লোকশিল্পীদের নিয়ে একাধিক লোকসাংস্কৃতিক তাঁবু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। থাকবে স্টল, যেখানে আদিবাসী সম্প্রদায়ের হাতের তৈরি জিনিস বিক্রি হবে।

Advertisement

১৬০ হেক্টর এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে বাহাদুরপুর জঙ্গল। ২০২০ সালে ইকো ট্যুরিজমের সম্ভাবনা নিয়ে এই জঙ্গলে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। সেই সমীক্ষা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ২০২১ সালে কাজ শুরু করে বন দফতর। কমবেশি ১৭টি প্রজাতির পর্ণমোচী ও চিরহরিৎ গাছ রয়েছে বাহাদুরপুর জঙ্গলে। পরবর্তীতে কালে জেলা পর্যটন করিডর গড়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে রাজ্য প্রশাসনের। সূত্রের খবর, এক দিকে নবদ্বীপ মায়াপুর অন্য দিকে বেথুয়া ও বাহাদুর জঙ্গলকে যুক্ত করে পর্যটনের চতুর্ভুজ গড়তে চাইছে তারা।

প্রস্তাবিত পর্যটন কেন্দ্রে কী ধরনের সুবিধা থাকছে? বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাহাদুরপুর জঙ্গলে রাত্রিবাসের জন্য কাঠের ছোট ছোট তাঁবু তৈরি করা হবে। বন ফায়ার থাকবে। গাইডের সঙ্গে জঙ্গলে নাইট ওয়াকেরও ব্যবস্থা করা হবে।‌ এখানে বিভিন্ন কাজে নিয়োগের জন্য আশপাশের গ্রামবাসীদের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে।

Advertisement

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে বাহাদুরপুর জঙ্গলে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্রের চূড়ান্ত অনুমোদন হাতে আসতে চলেছে বন দফরের। ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ পুরোদমে শুরু হবে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ। নদিয়া-মুর্শিদাবাদ ডিভিশনের ডিএফও প্রদীপ বাউড়ি বলেন, ‘‘বাহাদুরপুর জঙ্গলে ইকো ট্যুরিজম স্পট তৈরির করার অনুমোদন খুব তাড়াতাড়ি আসতে চলেছে। আগামী অর্থবর্ষে এই প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটনের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাও রয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement