প্রতীকী ছবি।
রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী বর্ণালী দে ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছেন। গ্রামে-গঞ্জে কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তাঁকে প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে। অথচ ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি। কে প্রার্থী হতে পারেন তা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েড এলাকা ছাড়াও রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকের ৬টি পঞ্চায়েত এবং রানাঘাট ২ ব্লকের ৮টি পঞ্চায়েত নিয়ে রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা এলাকা গঠিত। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জোট প্রার্থী সিপিএমের রমা বিশ্বাস তৃণমূল প্রার্থী আবীররঞ্জন বিশ্বাসকে ১৭২৫৩ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার ৪৪৯৩১ ভোটে তৃণমূল প্রার্থী রুপালি বিশ্বাসকে পরাজিত করেছিলেন।
দুই ভোটের ফলাফলে স্পষ্ট, তৃণমূলের খুঁটি এই কেন্দ্রে কিছুটা হলেও নড়বড়ে। যদিও তৃণমূল প্রার্থী বর্ণালী দে তা মনে করেন না। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জন্য এলাকার মানুষ আমাদের পাশে আছেন। তাঁরা আমাকে নির্বাচিত করবেন।”
বিজেপি প্রার্থী হিসেবে যাঁদের নাম হাওয়া ভাসছে তাঁদের মধ্যে অর্চনা মজুমদার অন্যতম। পেশায় চিকিৎসক অর্চনা মজুমদারকে কয়েক বছর ধরে বিজেপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্যশিবিরও করেছেন। এই কেন্দ্রে নদিয়া দক্ষিণ জেলা বিজেপির তফসিলি মোর্চার সভাপতি অমিতোষ বসুও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১১ সালের বুথ কমিটির সম্পাদক হিসাবে তিনি রাজনীতির ময়দানে এসেছিলেন। দলের নদিয়া দক্ষিণ জেলার সম্পাদিকা তাপসী বিশ্বাসের নামও শোনা যাচ্ছে। তিনি বর্তমানে রানাঘাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। পায়রাডাঙার বাসিন্দা ব্যবসায়ী অসিতবরণ মণ্ডল, ওই এলাকার বাসিন্দা প্রাক্তন সেনাকর্মী সুভাষ বিশ্বাসের নামও শোনা যাচ্ছে।
বর্তমানে জেলা পরিষদের শিশু ও নারী কল্যাণ বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ বর্ণালী। রানাঘাট ২ ব্লক মহিলা তৃণমূল সভানেত্রীও বটে। তাই বিজেপি কর্মীদের অনেকেই মনে করছেন, বর্ণালী দের মতো প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে ওজনদার প্রার্থী প্রয়োজন।
রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, “ওই কেন্দ্রের জন্য ভাল প্রার্থী দেওয়ার জন্য দলের ভাবনা চিন্তা রয়েছে। এলাকার মানুষ আমাদের পাশে আছে। আমাদের প্রার্থীই ওই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হবেন।’’