ইদের মুখে বেলডাঙায় জমে উঠেছে কাচের চুড়ি বিক্রি। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
সপ্তাহ দুয়েক থেকে দেশ জুড়ে কোভিডের রেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। পশ্চিমবঙ্গেও উদ্বেগ বেড়েছে। এখন থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে কোভিডের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে। দিন দশেক পরে রয়েছে আর ইদ-উল-ফিতর। তাতে বহু মানুষ ভিন রাজ্যের কর্মস্থল থেকে মুর্শিদাবাদে ফিরতে শুরু করেছেন। ফলে এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ দেখা দিলে যাতে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা যায় তার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এমনিতেই করোনা হাসপাতালগুলি চালুর উপযুক্ত কি না তা দেখতে মহড়া দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। সেই মতো মঙ্গলবার বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস মাতৃসদন করোনা হাসপাতালে এবিষয়ে মহড়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার সুভাষ সরকারের নেতৃত্বে সেখানে মহড়া হয়েছে। পরে এদিন এবিষয়ে রাজ্যে রিপোর্ট পাঠিয়েছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রের খবর, করোনা রোগী না থাকায় বছর খানেক ধরে বহরমপুরের মাতৃসদন করোনা হাসপাতালে বন্ধ রয়েছে। এতদিন বন্ধ থাকার কারণে এখনই সেখানে রোগী ভর্তি করার উপযুক্ত পরিকাঠামো রয়েছে কী তা দেখতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। সেই মতো চালিয়ে দেখা হয় পিএসএ অক্সিজেন প্লান্ট, খোঁজ খবর নেওয়া হয় করোনার রোগীদের ওষুধপত্রের, অক্সিজেন মাস্ক কেমন রয়েছে।
হাসপাতাল চালু করতে গেলে কী কী যন্ত্রপাতির সার্ভিসিং করা দরকার, কী কী জিনিসপত্র কেনা দরকার সে সব বায়ো মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের দেখে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে ১৭৫টি শয্যা রয়েছে। সবগুলিই এখন চালু করার যোগ্য। আবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মূল ক্যাম্পাসে ৪০টি শয্যা বরাদ্দ করা হয়েছে করোনা রোগীদের জন্য।