দেওয়াল লিখন। নিজস্ব চিত্র
সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদে ভাল ফল করেছে তৃণমূল। জেলার তিনটি লোকসভা আসনের পাশাপাশি ভগবানগোলা বিধানসভার উপনির্বাচনেও তারা জয়ী হয়েছে। দলের এমন সাফল্যর মাঝে দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে একুশে জুলাইয়ের শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠান। ইতিমধ্যে দলের রাজ্য নেতৃত্ব জেলায় জেলায় চিঠি দিয়ে একুশের জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশকে সফল করতে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ পাওয়ার পরে দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠন যেমন একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠক করছে, তেমনই একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবসে যোগদান করার জন্য দেওয়াল লিখনও করছে।
দলের পক্ষ থেকে বাস মালিকদের কাছে থেকে শহিদ দিবসে যাওয়ার জন্য বাস চাওয়া হয়েছে। কোন এলাকা থেকে কত কর্মী সমর্থক কীভাবে কলকাতার শহিদ সমাবেশে যাবেন তার রূপরেখা তৈরি হচ্ছে। বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘একুশের জুলাইয়ের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য প্রস্তুতি হিসেবে বৈঠক, দেওয়াল লিখন প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন স্তরে আলোচনার পরে ঠিক কত মানুষকে আমরা শহিদ সমাবেশে নিয়ে যেতে পারব তার লক্ষ্য স্থির করব।’’ তাঁর দাবি, ‘‘লালগোলা-শিয়ালদহ, আজিমগঞ্জ কাটোয়া হাওড়া রেলপথ ছাড়াও সাঁইথিয়া থেকেও আমাদের জেলার কর্মী-সমর্থকেরা ট্রেনে করে ওই সমাবেশে যোগ দিতে যাবেন। সেই সঙ্গে ছোট গাড়ি, বাসে করেও যাবেন। ইতিমধ্যে বাস মালিক সংগঠন এবং বিভিন্ন বাসের সংস্থার কাছ থেকে বাস ভাড়া চেয়েছি।’’
জেলা যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার বহরমপুরে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে। সেখানে অপূর্ব, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ আসিফ-সহ জেলার অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে উপস্থিত যুব তৃণমূলের ব্লক ও শহর সভাপতিদের অঞ্চল ও ওয়ার্ড স্তরে প্রস্তুতি বৈঠকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি মহম্মদ আসিফ বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে আমরা ব্লক ও শহর যুব তৃণমূলের সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করেছি। একই ভাবে ব্লক স্তরে ও অঞ্চল স্তরে বৈঠক করার কথা বলা হয়েছে। একুশে জুলাইকে সামনে রেখে ব্লকে ব্লকে, অঞ্চলে অঞ্চলে পথসভা করা হবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘জেলা থেকে ২০ হাজার যুব তৃণণূলের কর্মী সমর্থক কলকাতায় শহিদ সমাবেশে যোগ দেবেন।’’